গলসি : ষষ্ঠ দফার ভোট ঘিরেও সকাল থেকে বিভিন্ন জায়গায় অশান্তির খবর সামনে আসছে। বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মার, হুমকির অভিযোগ উঠছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সেই একই ছবি দেখা গেল গলসিতেও। গলসির মনোহর-সুজাপুরে বিজেপি সমর্থকদের ভোট দানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনা ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।


ঘটনা মনোহর সুজাপুর এলাকার ২১৩ এবং ২১৪ নম্বর বুথের। বিজেপি-র অভিযোগ, আজ সকাল থেকে তাদের সমর্থকরা বুথের দিকে গেলে তাঁদের বাধা দেয় তৃণমূল। প্রতিবাদ করতে গেলে তাদের একজন কর্মীকে মারধর করা হয়েছে। তাঁকে চিকিৎসার জন্য স্থানীয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।


এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় কুইক রেসপন্স টিম আসে। কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং রাজ্য পুলিশকে পুরো বিষয়টি জানানো হয় বিজেপির তরফে। আপাতত এলাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।


ভোটের আগে থেকে এমনিতেই অশান্তির আঁচ রয়েছে পূর্ব বর্ধমানের গলসিতে। দিনকয়েক আগে গলসিতে এক গেরস্থের বাড়ির উঠোনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তীব্র শব্দে কেঁপে ওঠে আটপাড়া গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা। ঘটনায় বাড়ির মালিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। এনিয়ে রাজনৈতিক তরজায় জড়ায় বিজেপি ও তৃণমূল। বিজেপির তরফে অভিযোগ তোলা হয়, ধৃত ফটিক শেখ তৃণমূল কর্মী। ভোটে সন্ত্রাস চালাতেই তাকে দিয়ে বোমা মজুত করছে শাসকদল। যদিও তৃণমূল সেই অভিযোগ অস্বীকার করে। তাদের তরফে জানানো হয়, এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। তৃণমূল সমর্থক হলেও হতে পারে, তবে জানা নেই।


শুধু আটপাড়াই নয়, তার একদিন পরেই বিস্ফোরণ ঘটে গলসির রাইপুরে অঙ্গনওয়াড়ি স্কুলের পাশে নির্মীয়মাণ বাড়িতে। এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যে দুটি বিস্ফোরণের ঘটনায় একে অপরকে দোষারোপ করতে শুরু করে তৃণমূল ও বিজেপি। যে নির্মীয়মাণ বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়, তার পাশেই রয়েছে অঙ্গনওয়াড়ি শিশুশিক্ষা কেন্দ্র। ভোট ব্যাহত করতে এমন কাজ বলে বিজেপির তরফে অভিযোগ তোলা হয়। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল। শাসকদলের তরফে বলা হয়, মানুষ আমাদের সঙ্গে আছে। গত বিধানসভাতেও আমরা জিতেছি। আমরা কেন বোমা রাখতে যাব।