রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ হওয়ার আগেই জলপাইগুড়িতে চলে এসেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আর তা নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করেছে তৃণমূল। পাল্টা জবাব দিয়েছে বিজেপি।
ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ হতেই, শুরু হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে তরজা। ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার বেশ কিছুটা আগে চলে এসেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। শুরু করেছে রুটমার্চ। কেন্দ্রীয় বাহিনী আসা নিয়ে ভোট ঘোষণার সময় ব্যাখ্যাও দিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল আরোরা। তারপরও তরজা থামছে না। ইতিমধ্যেই জলপাইগুড়িতে ৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে এসেছে। চলছে এরিয়া ডমিনেশন। গ্রামে গ্রামে রুটমার্চ করছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। আর এই নিয়েই বিজেপিকে আক্রমণ করেছে তৃণমূল।
জলপাইগুড়ির তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র দুলাল দেবনাথ বলেন, ‘‘এরা গ্রামে ঢুকে মানুষের মধ্যে একটা বিভ্রান্ত ছড়ানোর চেষ্টা করছে। যার নেপথ্য়ে আছে বিজেপি সরকার। সেটা প্রমাণিত মানুষের কাছে, এখন নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়েই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে ইডি আর সিবিআই এর মতো। আইন শৃঙ্খলা রাজ্য সরকারের দেখার দায়িত্ব, সেখানে কি উদ্দেশ্যে বাহিনি পাঠানো হয়েছে মানুষ সেটা দেখতে পারছে।’’
পাল্টা তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। জলপাইগুড়ির বিজেপি সভাপতি অলোক চক্রবর্তী জানান, ‘‘সেন্ট্রাল ফোর্স এসে ভালো করেছে, আমরা দেখেছি বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে যারা পঞ্চায়েত ভোটে লুঠ করেছে যারা ব্যালট লুঠ করেছে, ব্যালট বাক্সে আগুন ধরিয়েছে, তারা ইতিমধ্যেই বিজেপিকে ভয় দেখানোর জন্য মানুষকে ভয় দেখানোর জন্য রীতিমতো মাঠে নেমে পড়েছে, কেন্দ্রীয় বাহিনী রুট মার্চ করছে সাধারণ মানুষ তাদের ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানাচ্ছে। বলছে, এবার নিশ্চিন্তে ভোটটা দিতে পারব। মানুষের মধ্যে বিশ্বাস জাগছে, তাই তৃণমূল ভয় পেয়েছে।’’
উল্লেখ্য, গতকাল বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ নির্বাচন কমিশন। মোট ৮ দফায় ভোট হব এরাজ্যে। জলপাইগুড়িতে বিধানসভা কেন্দ্র সাতটি। ভোটগ্রহণ ১৭ এপ্রিল। তার আগে, বাহিনী ইস্যুতে তুঙ্গে উঠেছে তৃণমূল ও বিজেপির তরজা।