দীপক ঘোষ ও বিজেন্দ্র সিংহ, কলকাতা: কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাশাপাশি পুলিশও থাকুক বুথে। এই মর্মে আজ নির্বাচন কমিশনে আবেদন জানাল তৃণমূল। একইসঙ্গে এখনও পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের আচরণ পক্ষপাতদুষ্ট বলে ফের সুর চড়িয়েছে রাজ্যের শাসক দল। যথারীতি এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে বিজেপি-তৃণমূল তরজা।


নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহত হওয়ার ঘটনায় কার্যত পত্রযুদ্ধ চলেছে নির্বাচন কমিশন আর তৃণমূলের মধ্যে। সংঘাতের সুর চড়িয়ে এবার বঙ্গের ভোটে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকাকে ফের পক্ষপাতমূলক বলে দাবি করল তৃণমূল। এই মর্মে জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে রাজ্যের শাসকদল। তৃণমূল যে কমিশনের ভূমিকাকে ভাল চোখে দেখছে না, তা চিঠির বিষয়বস্তুতেই স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে।


চিঠির শুরুতেই তৃণমূলের তরফে অভিযোগ তোলা হয়েছে, দিনে দিনে স্পষ্ট হচ্ছে, কমিশন যেভাবে একতরফা এবং পক্ষপাতমূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে, তাতে বাংলায় স্বচ্ছ ও অবাধ নির্বাচন বাস্তবোচিত বলে মনে হচ্ছে না। তৃণমূলের দাবি, বিভিন্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে, ভোটকেন্দ্রের ১০০ মিটারের মধ্যে শুধু কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে, পুলিশ নয়। এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। শাসকদলের মতে, এই সিদ্ধান্ত যদি সত্যি সত্যিই কার্যকর হয়, তাহলে তা অনৈতিক এবং রাজ্য পুলিশ-প্রশাসনের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করবে। তৃণমূলের দাবি, স্বচ্ছ ও অবাধ ভোটের স্বার্থে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে পুলিশকেও বুথের ১০০ মিটারের মধ্যে মোতায়েন করা উচিত।


এর পাশাপাশি ১০০ শতাংশ ভিভিপ্যাট গণনার দাবিও জানিয়েছে তৃণমূল। এদিন দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনে যায় তৃণমূলের সংসদীয় প্রতিনিধি। দলে ছিলেন সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিনহাও ৷ তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে খতিয়ে দেখতে বলব বলে কমিশন জানিয়েছ.৷’’


প্রত্যাশিতভাবেই পাল্টা কমিশনের পাশে দাঁড়িয়ে রাজ্য পুলিশের ওপর অনাস্থা প্রকাশ করে তৃণমূলকে আক্রমণ করেছে বিজেপি। রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘রাজ্য পুলিশের ওপর আস্থা নেই। পুলিশের রাজনীতিকরণে সম্পূর্ণ বিব্রত নির্বাচন কমিশন ৷’’ সবমিলিয়ে প্রথম দফার ভোট যত এগিয়ে আসছে, তৃণমূলের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সংঘাতও ততই বেড়ে চলেছে।