শুভেন্দু ভট্টাচার্য, আশাবুল হোসেন ও বিটন চক্রবর্তী, কলকাতা : কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এবং বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিককে (Nishith Pramanik) জেড প্লাস ক্যাটিগরির নিরাপত্তা (Z+ Category Security) দেওয়া হচ্ছে বলে সূত্রের দাবি। বাড়ানো হয়েছে কোচবিহার জেলার ৫ জন বিধায়কের নিরাপত্তাও। এনিয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল এবং সিপিএম।
পঞ্চায়েত ভোটের মুখে নিরাপত্তা বাড়ল অমিত শাহের ডেপুটি বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের। সূত্রের দাবি, কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে জেড প্লাস ক্যাটিগরির নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। এর আগে, জেড ক্যাটিগরির নিরাপত্তা পেতেন নিশীথ প্রামাণিক।
মনোনয়নপর্বের স্ক্রুিটিনিতে দিনহাটা ব্লকের সাহেবগঞ্জে বিডিও অফিসের অদূরে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের সামনেই পর পর বোমাবাজি হয়। এর আগে, ২৫ ফেব্রুয়ারি কোচবিহারের দিনহাটায়, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর গাড়ির কাচ ভাঙে, গুলি চালানো এবং বোমাবাজির অভিযোগও ওঠে। এই প্রেক্ষাপটে এবার, নিশীথ প্রামাণিকের নিরাপত্তা বাড়াল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
শুধু, নিশীথ প্রামাণিক নন, জেলার ৫ বিজেপি বিধায়কেরও নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে। আগে, তাঁদের সঙ্গে ৪ জন করে CISF জওয়ান থাকতেন। এখন থেকে ৫ জন করে CISF জওয়ান থাকবেন।
কী হয়েছিল সাহেবগঞ্জে ?
পঞ্চায়েত ভোটের স্ক্রুিটিনি পর্বে উত্তেজনা ছড়ায় ! দিনহাটা ব্লকের সাহেবগঞ্জে বিডিও অফিসের অদূরে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের সামনেই পর পর বোমাবাজি হয়।
তৃণমূল-বিজেপির ধস্তাধস্তি! পুলিশের লাঠিচার্জ। স্ক্রুটিনার পর বিজেপি প্রার্থীরা বেরনোর সময়ও ফের বোমাবাজি হয়। স্ক্রুটিনি চলাকালীন উত্তেজনা ছড়ায় সাহেবগঞ্জে। বিজেপির অভিযোগ, তাঁদের প্রার্থীদের নথিপত্র ছিনিয়ে নিয়ে মারধর করা হয়।
এরপরই ঘটনাস্থলে আসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এবং কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক ও কোচবিহারের বিজেপি সভাপতি ও বিধায়ক সুকুমার রায়। অভিযোগ, নিশীথের গাড়ি লক্ষ্য করে তির মারে তৃণমূল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকা নিন্দনীয়। তীর মারা হল, পর পর ২টো বোম চার্জ হল। প্রার্থীদের ওপর নির্মম অত্যাচার। কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে স্ক্রুটিনি হোক। কী করে তৃণমূলের লোক ভিতরে গেল, আমদের আকটে দিল।
বিডিও অফিসের কয়েকশো মিটার আগে ব্যারিকেডে, নিশীথ প্রামাণিককে আটকায় পুলিশ। ঠিক সেই সময়, সেখান থেকে কিছুটা দূরে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল। এরপরই, ঘটনাস্থলে আসেন কোচবিহারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। তাঁর নেতৃত্বে, তৃণমূল কর্মীদের হঠিয়ে দেওয়া হয়। এরপর, নিশীথ প্রামাণিকের সঙ্গে কথা বলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। লাঠি উঁচিয়ে বিজেপি কর্মীদেরও সরিয়ে দেয় পুলিশ।
এর আগে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি, কোচবিহারের দিনহাটায়, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে হামলা হয়। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর গাড়ির কাচ ভাঙা হয়, গুলি চালানো এবং বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে।
সম্প্রতি, ৬ বার গুলি চলেছে কোচবিহারে। কার্যত ভোট-হিংসার হটস্পটে পরিণত হয়েছে কোচভূম। এই অবস্থায়, পঞ্চায়েত ভোটের আগে, অশান্তির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রাজনৈতিক তরজাও।