শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার:  দলবদলের মরশুমে ফের শাসকশিবিরে বিদ্রোহ। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে যারা পেছন থেকে ছুরি মেরেছে তাঁরাই এখন পদে। দাবি তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র  কোচবিহার জেলার সাধারন সম্পাদকের। তাঁর এই দাবিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল। দলের দরজা খোলা রেখে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।


কোচবিহারে বিদ্রোহের বড়সড় খেসারত আগেই গুণতে হয়েছে তৃণমূলকে। একদা তৃণমূলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ যুব নেতা নিশীথ প্রামাণিকই বিজেপিতে যোগ দিয়ে, কোচবিহার লোকসভা আসনটি তৃণমূলের থেকে ছিনিয়ে নিয়েছিলেন। আর বিধানসভা ভোটের মুখে সেই জেলাতেই ভূষণ সিংহ, পরিমল বর্মন থেকে খোকন মিঞা-

বিদ্রোহী নেতাদের ছড়াছড়ি। এবার ফের বেসুরো আরেক শাসক নেতা।

তালিকায় নতুন সংযোজন মাথাভাঙার তৃণমূল নেতা তথা জেলা আইএনটিটিইউসি -র সাধারন সম্পাদক আলিজার রহমান।

রবিবার জেলা তৃণমূল অফিসে মাথাভাঙা ১-এর এ ব্লক কমিটি ও বেশকিছু অঞ্চল কমিটি ঘোষণা করেন সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়। এরপরই ফেসবুকে তৃণমূল নেতা আলিজার রহমান কটাক্ষের সুরে লেখেন,'নব ঘোষিত মাথাভাঙা ১ নম্বর ব্লক মার্ক্সবাদী তৃণমূল কংগ্রেসের কমিটিকে জানাই লাল সেলাম'।

আলিজার রহমান বলেছেন,  যারা ২০১৯ -লোকসভা নির্বাচনে পেছনে থেকে ছুরি মেরেছিলেন, তাঁরাই এখন পদে। চাকরির নামে প্রতারণা, চিটফান্ডকান্ডে জড়িতদের গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।  পুরোনো কর্মীদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। রবীন্দ্রনাথ ঘোষ পুরনো নেতা, তিনিই পারেন এই কঠিন সময়ে কোচবিহারে তৃণমূলের হাল ধরতে।

তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল আহমেদ বলেছেন, কে কী বলল উত্তর দেওয়ার সময় নেই, কিছু লোক টিভিতে মুখ দেখানোর জন্য এসব বলে যাচ্ছেন, আমি মন্তব্য করে গুরুত্ব বাড়াতে চাই না, সঠিক অভিযোগ থাকলে দেখব, পেপারে টিভিতে বলা ঠিক না।

কোচবিহারে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উৎ‍সাহিত হয়ে দরজা খুলে রেখেছে বিজেপি।  দলের জেলা কমিটির সদস্য বিরাজ বসু বলেছেন, এটা ওদের অভ্যন্তরীন ব্যাপার, স্বচ্ছ ভাবমূর্তি যাঁদের, তাঁদের জন্য দরজা খোলা।

কিছুদিন আগে উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে কড়া বার্তা দেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তারপরও ঐক্যের পরিবর্তে সেই অসন্তোষের সুর!