WB Elections Modi At Haldia Live Updates: 'তৃণমূল অনেক ফাউল করেছে, বাংলা তাদের রামকার্ড দেখাবে, হলদিয়ায় মোদি
WB Elections Modi In Bengal: ‘এবার তৃণমূল, বাম, কংগ্রেস একসঙ্গে ম্যাচ ফিক্সিং করছে’, মন্তব্য প্রধানমন্ত্রীর
‘এবার হবেই বাংলায় পরিবর্তন। তৃণমূলের লুকিয়ে থাকা বন্ধুদের থেকে সাবধান। এবার তৃণমূল, বাম, কংগ্রেস একসঙ্গে ম্যাচ ফিক্সিং করছে। কেরলে কংগ্রেস-বামের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে। পর্দার পিছনে যে খেলা চলছে, সেখান থেকে সতর্ক থাকতে হবে।’
‘পিসি-ভাইপোকে উৎখাত করতে বাংলার মানুষ মনস্থির করেছে। টিএমসির তোলাবাজ, সিন্ডিকেট আর কিছুদিন থাকবে। নিশ্চয় সংবিধান মেনে চলবে বাংলার প্রশাসন।’
‘তৃণমূল পরপর অনেক ফাউল করেছে। বিরোধীদের আক্রমণ, টাকা লুঠ, বাংলায় মানুষ সব দেখছে। খুব দ্রুত বাংলা তৃণমূলকে রামকার্ড দেখাবে।’
‘ত্রিপুরাতেও বাম শাসনে কোনও উন্নতি হয়নি। বিজেপি সরকার আসার পর ত্রিপুরায় প্রভূত উন্নতি। কেন্দ্রের এক দেশ এক রেশন কার্ডের সুবিধা মেলেনি। সপ্তম বেতন কমিশন অন্য রাজ্যে চালু হলেও বাংলায় হয়নি। বাংলার সরকার কর্মচারীদের সময়মতো মাইনে দিতে পারে না।’
‘বাংলার মানুষ উন্নতিতে সবসময় সচেষ্ট কেন্দ্র। হাইওয়ে, ফ্লাইওভার, রেল, বিমান, পোর্ট, ইন্টারনেট সুবিধা দিতে সচেষ্ট কেন্দ্র। পিএম আবাস যোজনায় বহু মানুষ বাড়ি তৈরি করতে পেরেছে। বাংলার উন্নয়নের গতি আনতে ডবল ইঞ্জিন সরকার প্রয়োজন। যখন আসল পরিবর্তন আসবে, তখন দুর্নীতিমুক্ত বাংলা হবে।
‘বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি সরকার গড়বে। বিজেপি ক্ষমতায় এসে যে টাকা পায়নি কৃষকরা, সেই টাকা মিলবে। আয়ুষ্মান প্রকল্পে চিকিৎসায় ৫ লক্ষ টাকা থেকে বঞ্চিত রাজ্যের মানুষ। রাজ্য সরকারের জন্য আয়ুষ্মান প্রকল্প থেকে বঞ্চিত রাজ্যের মানুষ।
‘পিএম নিধি প্রকল্পে দেশের ১০ কোটি কৃষকরা টাকা পেয়েছেন। কিন্তু এই প্রকল্পের সুবিধা পশ্চিমবঙ্গের মানুষ পায়নি। রাজ্য সরকার কৃষকদের এই টাকা থেকে বঞ্চিত করেছে। কিছুদিন আগে চাপে পড়ে কৃষকদের নাম পাঠিয়েছে রাজ্য সরকার। বাংলার প্রায় ২৫ লক্ষ কৃষক তৃণমূল সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। কিন্তু ২৫ লক্ষের মধ্যে মাত্র ৬ হাজার কৃষকের নাম পাঠিয়েছে রাজ্য। কেন্দ্র সরকার এখনও ৬ হাজার কৃষককে টাকা পাঠাতে পারছে না। কৃষকদের ব্যাঙ্কের তথ্য কেন্দ্রকে দেয়নি রাজ্য সরকার। মা, মাটি, মানুষের সরকারের জন্য টাকা পায়নি কৃষকরা।’
‘কেন্দ্র পশ্চিমবঙ্গের মানুষের জন্য বিনা পয়সায় রেশনের ব্যবস্থা করেছিল। কিন্তু মমতার সরকার মানুষের কাছে সেই রেশন পৌঁছে দেয়নি। রাজ্যের কৃষক, গরিবদের জন্য ৪ কোটি জনধন অ্যাকাউন্ট খুলেছিল কেন্দ্র। সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা দিতে অ্যাকাউন্ট খুলতে সাহায্য করেছিল কেন্দ্র। করোনাকালে পশ্চিমবঙ্গের কৃষকরা হাজার হাজার কোটি টাকা পায়নি।’
‘রাজনীতির দুর্বৃত্তায়ন করেছে তৃণমূল সরকার। বাংলার সরকার দুর্যোগের সময় দুর্নীতিতে জড়ায়। আমফানের ত্রাণ নিয়েও দুর্নীতি হয়েছে।’
‘দিদিকে উন্নয়ন নিয়ে প্রশ্ন করলে রেগে যান। ভারত মাতার স্লোগান শুনলেও রেগে যান মমতা। দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে, অথচ দিদি চুপ কেন? দেশ সব ধরণের ষড়যন্ত্রের কড়া জবাব দেবে।’
‘কংগ্রেসের আমলে দুর্নীতি ছিল। বামেদের আমলেও উন্নয়ন থমকে ছিল। মমতার পরিবর্তনের সওয়ালে ভরসা করেছিলেন অনেকে। মমতার শাসনের দশ বছরে শুধুই নির্মমতা। বাংলায় পরিবর্তন নয়, বাম শাসনের পুনরুজ্জীবন হয়েছে। বাংলায় শুধু অপরাধ, হিংসার পুনরুজ্জীবন হয়েছে।’
‘বাংলায় সড়ক যোগাযোগে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসছে। কেন্দ্রীয় প্রকল্পে চা বাগানের শ্রমিকদের অনেক উন্নতি হবে। এক সময় শিক্ষাক্ষেত্রে বাংলা দিশা দেখাত। কেন বাংলায় উন্নয়নের সেই গতিধারা ধাক্কা খেল? উন্নয়নের সেই ধারা বজায় থাকলে বাংলার ছবি বদলে যেত। ‘আমি জানতে চাই কেন বাংলা এতটা পিছিয়ে পড়ল? বাংলার মানুষ তাই এখন পরিবর্তন চাইছেন।’
‘বাংলায় ৫ হাজার কোটির প্রকল্পের সূচনা করব। বাংলার মানুষের প্রচুর কর্মসংস্থান হবে। সাধারণ মানুষ এই সব প্রকল্পের প্রচুর সুবিধে পাবেন। বাংলার অনেক জেলায় এলপিজি গ্যাস পাইপ লাইনে পৌঁছবে। বাংলায় সড়ক যোগাযোগে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসছে।’
‘মেদিনীপুরের পবিত্র মাটিতে আসতে পেরে ধন্য মনে করছি। এই মাটিতেই তৈরি হয়েছিল তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার। মেদিনীপুরের মাটির গুণে আমি মুগ্ধ। বাংলার এই পবিত্র মাটিকে কুর্নিশ জানাচ্ছি।’
ফের রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী। প্রথমে হলদিয়া হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডে রাজনৈতিক সভায় অংশ নেবেন নরেন্দ্র মোদি। এরপর পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন তিনি। সেখানে বিপিসিএলের এলপিজি টার্মিনাল, ধোবি-দুর্গাপুর প্রাকৃতিক গ্যাসলাইন ও হলদিয়ার রানিচকে একটি রেল ওভারব্রিজের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর সন্ধেয় কলকাতা ফিরে রাতেই দিল্লি উড়ে যাবে তাঁর বিমান। অন্যদিকে, হলদিয়ার সরকারি অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকবেন না বলে প্রধানমন্ত্রীর দফতরকে জানিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর দফতর।
‘হলদিয়ায় কেন্দ্র বিনিয়োগ করেছে, বহু কর্মসংস্থান হবে। ‘বাংলায় একটাও নতুন শিল্প আসেনি। রাজ্য সরকার শিল্পায়নে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। কর্মসংস্থানের যন্ত্রণায় বিদ্ধ রাজ্যের মানুষ। কেন্দ্র ও রাজ্যে একই সরকার হলে উন্নয়ন হবে। রাজ্যে প্রকৃত পরিবর্তন আসেনি।'
কলকাতায় পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী। একগুচ্ছ সরকারি কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে থাকছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ডোমজুড়ে আজ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের রোড শো। রোড শো শুরুর আগেই উত্তেজনা।‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে পোস্টার পড়ল এলাকায়। এলাকায় লাগানো হয়েছে কালো পতাকা।
প্রেক্ষাপট
কলকাতা : আজ রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। হলদিয়ায় পেট্রোলিয়ামমন্ত্রকের একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন তিনি। এর পাশাপাশি, হলদিয়াতেই একটি রাজনৈতিক সভাও করবেন।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর সরকারি অনুষ্ঠানে থাকবেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দফতরের তরফে শনিবার প্রধানমন্ত্রীর দফতরকে একথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
গত ২৩ জানুয়ারি ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে নেতাজির জন্মদিবসে, সরকারি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একমঞ্চে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই অনুষ্ঠানে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান ওঠার প্রতিবাদে বক্তৃতা দেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পাশাপাশি ভোটমুখী বাংলায় নানা বিষয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের সংঘাত চলছে! তাই কি রবিবারের সরকারি অনুষ্ঠানে যাবেন না মুখ্যমন্ত্রী? এমন জল্পনা চলছে রাজনৈতিক মহলে। উল্টোদিকে, হলদিয়ায় পেট্রোলিয়ামন্ত্রকের অনুষ্ঠানে থাকবেন বলে ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী!
সম্প্রতি লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে সাক্ষাতের জন্য সময় চান দিব্যেন্দু। ১০ ফেব্রুয়ারি সেই সাক্ষাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে সূত্রের খবর।সেদিন, তিনি সাংসদ পদ ছাড়তে পারেন বলেও জল্পনা শুরু হয়েছে।এদিকে, বিধানসভা ভোটের মুখে বঙ্গ সফরের আগে শনিবার বাংলায় ট্যুইট করেন নরেন্দ্র মোদি!
ট্যুইটে তাঁর বার্তা, রবিবার সন্ধ্যায় হলদিয়ায় একাধিক সরকারি প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করবেন।
প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচি অনুযায়ী,রবিবার দুপুর ৩টে ১০ নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে নামবে তাঁর বিমান।সেখান থেকে হেলিকপ্টারে করে ৩টে ৫০-এ হলদিয়ায় পৌঁছবেন মোদি।বিকেল ৪টেয় হলদিয়ার হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডে রাজনৈতিক সভায় অংশ নেবেন। এরপর বিকেল ৪টে ৫০-এ সরকারি অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী।
সেই অনুষ্ঠানেই বিপিসিএলের এলপিজি টার্মিনাল। ধোবি-দুর্গাপুর প্রাকৃতিক গ্যাসলাইনের উদ্বোধন করবেন মোদি।
হলদিয়ার রানিচকে একটি রেল ওভারব্রিজেরও উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।রবিবার সন্ধে ৬টা ২০-তে দিল্লির উদ্দেশে রওনা হবেন নরেন্দ্র মোদি।
গতকালই নবদ্বীপে বিজেপি রথযাত্রা কর্মসূচীর সূচনা করে তৃণমূলকে নিশানা করেছেন বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা। গত ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসের শুরুর দিকেও বঙ্গ সফরে এসেছিলেন জেপি নাড্ডা। ডিসেম্বরে ডায়মন্ডহারবারে জনসভায় যাওয়ার পথে তাঁর কনভয় আক্রান্ত হয়েছিল। যা নিয়ে তুঙ্গে উঠেছিল তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি-র রাজনৈতিক তরজা। গত জানুয়ারি মাসে নাড্ডার গন্তব্য ছিল বীরভূমে। সেখানেও ডায়মন্ডহারবারের মতোই জনসভা করেছিলেন তিনি। পাশাপাশি বীরভূম কৃষকদের বাড়িতে গিয়ে জনসংযোগ বাড়ানোর কাজও করেছিলেন নাড্ডা।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -