উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: শিবির বদলের জল্পনার মধ্যেই আজ বিধানসভার অধিবেশনে গরহাজির রইলেন বেশ কয়েকজন তৃণমূল বিধায়ক। তালিকায় আছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বৈশালী ডালমিয়া, লক্ষ্মীরতন শুক্ল থেকে প্রবীর ঘোষাল। গরহাজিরার কারণ জানতে চাইবে তৃণমূল।


ফের বঙ্গ সফরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা অমিত শাহ। সেইসঙ্গে ফের তৃণমূলে ভাঙনের জল্পনা।এরইমধ্যে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হল বিধানসভার দু’দিনের অধিবেশন।

অধিবেশনে যাতে দলের সব বিধায়ক উপস্থিত থাকেন, তার জন্য মৌখিকভাবে হুইপ জারি করেছিল তৃণমূল। ফলে এদিন একটি বিষয়ের দিকে সবার নজর ছিল, তা হল, বেসুরো তৃণমূল বিধায়করা বিধানসভায় হাজির হন কি না!

আর তাৎপর্যপূর্ণভাবে বৃহস্পতিবার একাধিক তৃণমূল বিধায়ক বিধানসভার অধিবেশনে অনুপস্থিত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়,বৈশালী ডালমিয়া,লক্ষ্মীরতন শুক্ল,প্রবীর ঘোষাল ও দীপক হালদারের মতো বেসুরো তৃণমূল বিধায়ক।

জানা গেছে, বিধানসভার অধিবেশনে কারা কারা আসছেন, সেদিকে নজর রেখেছিল শাসকদল। দেখা গেল, আনুষ্ঠানিকভাবে না হলেও, প্রত্যেক বিধায়কের মোবাইল ফোনে মেসেজ গিয়েছিল। হুইপ জারি হয়নি। এক্ষেত্রে অধ্যক্ষের অনুমতি নিতে হয়।

পরিষদীয় মন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস মহাসচিব  পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, অনেকে আগেই জানিয়েছিলেন আসতে পারবেন না। এছাড়া যাঁরা এলেন না, তাঁরা কেন এলেন না, খোঁজ নেব।

শুধুমাত্র বিতর্ক এড়াতেই অনেকে বিধায়ক পড়িমড়ি করে এদিন বিধানসভায় আসেন।তাদের মধ্যে অন্যতম নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়।

অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও বিধানসভায় হাজির হন চৌরঙ্গীর বিধায়ক।

জানান, না এলে বিতর্ক হবে। তাই শরীর খারাপ সত্বেও এসেছেন।

তাৎপর্যপূর্ণভাবে গত ১৯ ডিসেম্বর কংগ্রেস ও বাম শিবির থেকে বিজেপি যোগ দেওয়া ২ বিধায়ক পুরুলিয়ার সুদীপ মুখোপাধ্যায় ও তমলুকের অশোক দিন্দা এদিন বিধানসভায় অত্যন্ত সক্রিয় ছিলেন। নতুন দলের হয়ে তাঁরা যেমন ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন, তেমনই জয় শ্রী রাম ধ্বনি তুলেছেন। এ নিয়ে কটাক্ষ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এটাই এদের স্বভাব। কংগ্রেস ছেড়ে যাঁরা গেছেন, তাঁরাই সবচেয়ে বেশি লাফালাফি করছে।

কংগ্রেস ত্যাগী বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে নীতির কথা শুনব না, উনিই তো কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল করেন।

দলবদলের জল্পনার জেরেই বিধানসভায় বিধায়কদের উপস্থিতি-অনুপস্থিতির বিষয়টি অন্য মাত্রা পেয়েছে।