অর্ণব মুখোপাধ্যায় ও সমীরণ পাল:  বাংলায় প্রথম দু’দফায় ৬০টি বিধানসভা কেন্দ্রের ভোট এখন ইভিএম-বন্দি। তৃণমূল ও বিজেপি, দু’পক্ষই আসন জয়ের হাফ সেঞ্চুরি হাঁকানোর দাবি করছে। প্রথম দুই দফায় ৫০টি আসনে জিতে গেছে বিজেপি। আত্মবিশ্বাসী অমিত শাহ। মাইনাস থেকে প্লাস করে ফেলেছি। পাল্টা দাবি তৃণমূল নেত্রীর।


ধাপে ধাপে এগোচ্ছে ভোট। ধাপে ধাপে এগোচ্ছে ভোটে জয়ের দাবি, পাল্টা দাবিও! তৃণমূল-বিজেপি উভয়েরই দাবি, এখনও পর্যন্ত যে ৬০টি আসনে ভোট হয়েছে, তারমধ্যে ৫০টি আসনে জিতছে তারা। 


২৯৪টি আসন বিশিষ্ট বাংলায় ম্যাজিক ফিগার ১৪৮। ভোটের ফলাফলে কড়া টক্কর হবে ? না কি একপেশে ফল হবে, অর্থাৎ এক পক্ষ, অপরপক্ষের ঝড়ে উড়ে যাবে? 


না কি অত্যন্ত তাৎ‍পর্যপূর্ণভাবে, নতুন প্রজন্মকে সামনে রেখে, জোট বেধে ভোটে নামা বাম-কংগ্রেসের পুনরুজ্জীবন হবে এবং তারাই নির্ণায়ক হয়ে উঠবে, তার উত্তর মিলবে ২ মে! কিন্তু, তার আগেই তৃণমূল-বিজেপি নিজেদের মতো করে ফলের ভবিষ্যদ্বাণী করেই চলেছে।


কালচিনির সভায় অমিত শাহ বলেন, ‘‘দিদি বলছে খেলা হবে, কিসের খেলা? প্রথম দু দফার ভোটে বাংলায় ফুল ফুটেছে। ২ মে দিদি যাচ্ছেন।’’ অন্যদিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের মন্তব্য, ‘‘আমার মনে হয় হাফ সেঞ্চুরি করে ফেলেছি ৷’’


পাল্টা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইঙ্গিত, আগের ভোটে যেখানে তাঁরা পিছিয়ে ছিলেন, এবার সেই সব কেন্দ্রও তাঁদের দখলে আসতে চলেছে। তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘‘মাইনাস এলাকা থেকে আমি প্লাস করে ফেলেছি। আর যে সমস্ত এলাকায় আমি প্লাসে ছিলাম, সেখান থেকে বিরোধীদের কী করে মাইনাস করতে হয়, তা দেখে নিয়েছি ৷’’


যশবন্ত সিনহা, বাজপেয়ী সরকারে প্রাক্তন মন্ত্রী ও তৃণমূল নেতা এদিন সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, যে দু দফা ভোট হয়েছে তাতে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে তৃণমূল ৷ তৃণমূল-বিজেপি যেভাবে এক এক দফার ভোট মিটতে না মিটতেই, আসন সংখ্যা নিয়ে দাবি করে চলেছে, তা নিয়ে কটাক্ষের সুর জোটের গলায়। 


তৃণমূল-বিজেপি উভয়েই দাবি করছে, তারা ২০০-র বেশি আসন পাবে। আর পরিসংখ্যান বলছে ১৯৭২ সাল থেকে ২০১৬ পর্যন্ত বাংলায় যে দলই ক্ষমতায় এসেছে তারা ২০০-র বেশি আসন পেয়েছে। ব্যতিক্রম হয়েছিল শুধুমাত্র ২০০১ সালে। সেবার বামফ্রন্ট ১৯৯টি আসন পেয়েছিল।