রানা দাস, পূর্ব বর্ধমান: কাটোয়ায় জোটে নতুন করে জট। আবার জোটে হোঁচট। মনোনয়নপত্র জমা দিতে এসে বিস্মিত হয়ে গেলেন কাটোয়ার কংগ্রেস প্রার্থী প্রবীর গঙ্গোপাধ্যায়। মনোনয়ন পত্রে সই করার সময় দেখলেন তাঁর কেন্দ্রেই মনোনয়ন জমা দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন সিপিএম প্রার্থী সুদীপ্ত বাগচি।


কংগ্রেসের প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও প্রার্থী দিয়েছে সিপিএম। দেওয়াল লিখন, প্রচারও পুরোদমে শুরু করে দিয়েছেন বাম প্রার্থী। যদিও কংগ্রেস প্রার্থীর দাবি, প্রার্থী পদ প্রত্যাহার করে নেবে বামেরা। দুই প্রার্থীর মনোনয়ন ঘিরে জোটকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।


১৯৯৬ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত কাটোয়া ছিল কংগ্রেসের দখলে। এবারও সংযুক্ত মোর্চার তরফে কংগ্রেসকে আসনটি ছাড়া হয়। কিন্তু মনোনয়ন পেশের দিনেই সামনে চলে এল ফাটল। কংগ্রেসকে কার্যত অন্ধকারে রেখে একইদিনে মনোনয়ন জমা দিলেন সিপিএম প্রার্থী। দেওয়াল লিখন ও প্রচার পুরোদমে শুরু করে দিয়েছেন সিপিএম প্রার্থী সুদীপ্ত বাগচি। সিপিএম প্রার্থী দেওয়ায় অস্বস্তিতে পড়েছে কংগ্রেস। তবে তাঁদের আশা, বাম প্রার্থী মনোনয়ন তুলে নেবেন। কাটোয়ার কংগ্রেস প্রার্থী প্রবীর গঙ্গোপাধ্যায় জানান, ‘‘আমাদের প্রার্থী সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী, সিপিএম প্রার্থী দিলেও আমি সংযুক্ত মোর্চার ঘোষিত প্রার্থী, আমিই প্রার্থী থাকব ৷’’


কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য জানান, ‘‘সিপিএম নেতৃত্বের সঙ্গে কথা হয়েছে, আমাদের প্রার্থীই থাকবে, কোনও সমস্যা হবে না ৷’’ মনোনয়ন প্রত্যাহারের বিষয়টি নেতৃত্বের উপর ছেড়ে দিয়েছেন বাম প্রার্থী। কাটোয়ার সিপিএম প্রার্থী সুদীপ্ত বাগচি জানান, ‘‘আমরা শেষ পর্যন্ত একইসঙ্গে লড়ব। প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করব কি না তা রাজ্য নেতৃত্ব ঠিক করবে ৷’’


তবে এনিয়ে জোটকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। কাটোয়ার তৃণমূল প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় জানান, ‘‘কংগ্রেসের প্রার্থী নিয়ে সমস্যা ছিল, সিপিএম হয়তো তাদের ভরসা করতে পারছে না, সবার প্রার্থী থাকলে বোঝা যাবে কার কতটা শক্তি ৷’’ ২২ এপ্রিল কাটোয়ায় ভোট ৷ এই কেন্দ্রে মনোনয়ন প্রত্যাহারে শেষ দিন ৭ এপ্রিল ৷ শেষ পর্যন্ত কি দুই প্রার্থীই লড়বেন? না কি শেষ মুহূর্তে কেউ মনোনয়ন প্রত্যাহার করবেন? তা দেখতেই মুখিয়ে সকলে।