সমীরণ পাল, সন্দেশখালি: হ্যাম রেডিওর বেতার তরঙ্গ ব্যবহার করে মৎস্যজীবীরা গভীর সমুদ্রে নিজেদের মধ্যে কথোপকথন চালাচ্ছেন। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ ওয়েস্ট বেঙ্গল রেডিও ক্লাবের। এই সংগঠনের কর্তাদের অভিযোগ, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে যে সমস্ত জায়গায় মোবাইল ফোন কাজ করে না, সেখানে হ্যাম রেডিওর মাধ্যমে নির্বাচন সংক্রান্ত কাজের যোগাযোগ স্থাপন করছেন তাঁরা। এর জন্য ইতিমধ্যেই সুন্দরবন অঞ্চলে তাঁরা কাজ করতে শুরু করে দিয়েছেন। কিন্তু কাজ করতে গিয়ে দেখছেন যে তাঁদের তরঙ্গ ব্যবহার করে মৎস্যজীবীরা কথাবার্তা বলছেন। প্রায় ১৫ হাজার মৎস্যজীবী এইভাবে বেতার তরঙ্গ ব্যবহার করে বেআইনি কাজ করছেন।




এই বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের যোগাযোগ মন্ত্রীর কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন রেডিও ক্লাবের কর্তারা। তাঁরা চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, তাঁদের বেতার তরঙ্গ বেআইনিভাবে এই সমস্ত মৎস্যজীবীরা ব্যবহার করছেন। এর ফলে নির্বাচন সংক্রান্ত কাজের গোপনীয়তা বিঘ্নিত হবে। শুধু তাই নয়, নির্বাচন চলাকালীন যে সমস্ত বেতার তথ্য আদান-প্রদান করা হবে, সেটাও সহজেই মৎস্যজীবীদের মাধ্যমে অন্য কেউ জানতে পারে। সেক্ষেত্রে নির্বাচন সংক্রান্ত কাজের গোপনীয়তা নষ্ট হবে।




এ বিষয়ে ওয়েস্ট বেঙ্গল রেডিও ক্লাবের সম্পাদক অম্বরীশ নাগ বিশ্বাস জানিয়েছেন, ‘প্রায় ১৫ হাজার মৎস্যজীবী বেআইনিভাবে বেতার তরঙ্গ ব্যবহার করে কাজ চালাচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে হাতে গোনা ১০০ থেকে ২০০ জন মৎস্যজীবীর নিজস্ব বেতার তরঙ্গ আছে।  কিন্তু নির্বাচনের কাজ করতে গিয়ে যদি অন্য কেউ বেতার তরঙ্গ ব্যবহার করে, তাহলে ক্ষতি হতে পারে। উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালির মতো অঞ্চলে এর আগে নির্বাচনে ওয়েস্ট বেঙ্গল রেডিও ক্লাব হ্যাম রেডিওর মাধ্যমে বেতার তরঙ্গ ব্যবহার করে নির্বাচনের কাজকর্ম করেছে। কারণ এই সমস্ত প্রত্যন্ত অঞ্চলে মোবাইল পরিষেবা নেই। সেই কারণে যেখানে মোবাইল পরিষেবা নেই, সেখানে নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে হ্যাম রেডিও কাজে লাগানো হয়। কিন্তু মৎস্যজীবীরা যদি বেতার তরঙ্গ ব্যবহার করে নিজেদের কাজকর্ম চালান, সেক্ষেত্রে নির্বাচন সংক্রান্ত কাজের সুরক্ষা বিঘ্নিত হবে।’