কলকাতা:  তৃতীয় দফায় ভোট রয়েছে রাজ্যের ৩ জেলার ৩১টি আসনে। এর মধ্যে রয়েছে হাওড়ার ৭টি, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ১৬টি এবং হুগলির ৮টি আসন। 


এবার দেখে নেওয়া যাক, তৃতীয় দফায় কোন কোন ভিআইপি প্রার্থীর পরীক্ষা---


উলুবেড়িয়া উত্তর কেন্দ্র থেকে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন এই  কেন্দ্রের বিদায়ী বিধায়ক, চিকিৎসক নেতা নির্মল মাজি।


পাশের কেন্দ্র উলুবেড়িয়া দক্ষিণে বিজেপির প্রার্থী সদ্য দলে যোগ দেওয়া, অভিনেত্রী পাপিয়া অধিকারী। 


শ্যামপুর বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী করেছে আরেক অভিনেত্রী তনুশ্রী চক্রবর্তীকে। 


আমতা কেন্দ্রে সংযুক্ত মোর্চার হয়ে লড়ছেন এই কেন্দ্রের দু’বারের কংগ্রেস বিধায়ক অসিত মিত্র। 


এবার নজর দেওয়া যাক হাওড়ার পাশের জেলা হুগলিতে---


মন্ত্রী বেচারাম মান্নার বিধানসভা কেন্দ্র হরিপালে এবার তৃণমূল প্রার্থী করেছে তাঁর স্ত্রী করবী মান্নাকে। 


হরিপালে করবী মান্নার প্রতিপক্ষ হিসেবে সংযুক্ত মোর্চার তরফে লড়ছেন আইএসএফ-এর চেয়ারম্যান সিমল সোরেন।


জাঙ্গিপাড়া কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে লড়ছেন দেবজিৎ সরকার। 


তারকেশ্বর আসনে বিজেপি প্রার্থী করেছে স্বপন দাশগুপ্তকে। যিনি রাজ্যসভা থেকে ইস্তফা দিয়ে বিধানসভা ভোটে লড়ছেন।


পুরশুড়ায় তৃণমূলের টিকিটে লড়ছেন হুগলির জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব। 


নজর থাকবে আরামবাগ কেন্দ্রের দিকেও। যেখানে তৃণমূল প্রার্থী করেছে বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁর স্ত্রী সুজাতা মণ্ডলকে। স্ত্রী তৃণমূলে যোগ দেওয়ায়, কাঁদতে কাঁদতে তাঁকে বিবাহ বিচ্ছেদের নোটিস পাঠানোর সৌমিত্রর সেই ঘোষণা এখনও সবার মনে আছে। 


গোঘাট কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী করেছে ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে আসা প্রাক্তন বিধায়ক বিশ্বনাথ কারককে। 


এবার তৃণমূলের শক্ত গড় দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভিআইপিদের তালিকাটা দেখে নেওয়া যাক---


রায়দিঘি আসনে এবার সংযুক্ত মোর্চার সৈনিক, প্রাক্তন বিধায়ক কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। গত দু’টি বিধানসভা ভোটে দেবশ্রী রায়ের কাছে হেরেছেন। কিন্তু, বিপদে আপদে মানুষের পাশে থেকেছেন। আমফান-পরবর্তী সময়ে তিনি কীভাবে বিধ্বস্ত এলাকায় পৌঁছে গেছেন, মানুষকে সাহায্য করেছেন, তা আমরা দেখেছি। সোশাল মিডিয়ায় ‘এবার কান্তিদা-ই, এবার কান্তিদা-ই’ গান তো ভাইরাল!


রায়দিঘিতে বিজেপি প্রার্থী করেছে শান্তনু বাপুলিকে। বাসন্তী বিধানসভা কেন্দ্র থেকে সংযুক্ত মোর্চার হয়ে লড়ছেন আরএসপি-র সুভাষ নস্কর। 


ক্যানিং পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রে এবার তৃণমূল প্রার্থী করেছে বিদায়ী বিধায়ক সওকত মোল্লাকে। সিপিএমে থাকাকালীন ১৯৭৭ থেকে ২০১১ পর্যন্ত একটানা এই কেন্দ্র থেকে বিধায়ক ছিলেন রেজ্জাক মোল্লা। তিনি তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর, ২০১৬ সালে এখান থেকে প্রার্থী হয়ে জিতে আসেন সওকত মোল্লা। এবারও ক্যানিং পূর্বে তৃণমূলের ভরসা তিনিই। 


বারুইপুর পশ্চিম কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের টিকিটে লড়ছেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্থাৎ রাজ্য বিধানসভার স্পিকার। 


অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গড় ডায়মন্ডহারবারে তৃণমূলকে হারাতে বিজেপির বাজি তৃণমূল ছেড়ে আসা নেতা। ডায়মন্ডহারবার বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী করেছে তৃণমূল-ত্যাগী দীপক হালদারকে। 


ডায়মন্ডহারবার কেন্দ্রে সংযুক্ত মোর্চার হয়ে লড়ছেন বামেদের তরুণ মুখ, এসএফআই-এর রাজ্য সভাপতি প্রতীক উর রহমান।