দক্ষিণ ২৪ পরগনা: এদিন ভাঙড়ের সভা থেকে ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ)-কে তুলোধনা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের প্রতিষ্ঠাতা 'কালকেউটের' সঙ্গে তুলনা টেনে আব্বাস সিদ্দিকিকেও আক্রমণ করেন তৃণমূলনেত্রী।


এদিন জনসভা থেকে নাম না করে আব্বাসকে আক্রমণ করে তৃণমূলনেত্রী বলেন, "বিজেপির তিন বন্ধু-- সিপিএম, কংগ্রেস। আর নতুন জুটেছে আরেকজন। জীবনেও মানুষকে দেখেনি, জীবনেও রাজনীতি করেনি। চলে এসেছে সংখ্যালঘুর ভোট কাড়তে। তিনি না কি হঠাৎ করে বিজেপির টাকায় সংখ্যালঘু নেতা হয়ে গিয়েছেন। কত বড় নেতা? কোথায় ছিলি? কোথা থেকে এলি? বড় বড় সংখ্যালঘুদের সামনে সংকীর্ণ বক্তব্য রাখছে। আমি তো দিচ্ছি না। আমাকে হিন্দুও ভুল বোঝেনা, মুসলমানও ভুল বোঝে না। তুই কে হরিদাস? টাকা নিয়ে বিজেপি হয়েছিস। এগুলোর জন্যই উত্তপ্রদেশে হেরেছে অখিলেশরা। এগুলোকে বিশ্বাস করতে হয়? এরা কালকেউটের থেকেও ভয়ঙ্কর। এগুলোকে ঢুকতে দেবেন না। একটাও ভোট দেবেন না। আমি দেখতে চাই না, এরা ভাঙড়ে একটাও ভোট পাক। ওর ভোট পাওয়া মানে বিজেপির ভোট পাওয়া। আমার কাছে অঙ্গীকার করতে হবে, বিজেপি যাতে ভোট না পায়, তার ব্যবস্থা করতে হবে। ৬ মাস রাজনীতি করেছে, প্রচুর টাকার মালিক হয়েছে। আমি আছি বলে হিন্দুরাও ভালো আছে, মুসলিমরাও ভালো আছে। আমি না থাকলে দুজনের কেউ-ই ভালো থাকত না।"


এর আগে চণ্ডীতলার সভা থেকে নাম না করে ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ) প্রতিষ্ঠাতা আব্বাস সিদ্দিকিকে আক্রমণ করেন তৃণমূলনেত্রী। বলেন, ফুরফুরা শরিফের একজন বিজেপির বড় বন্ধু। তিনি এখন সিপিএম কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সংখ্যালঘু ভোট ভাঙার চেষ্টা করছেন। এখানেই থামেননি তিনি। মমতা বলেন, ত্বহা সিদ্দিকিকে চিনি অনেকদিন ধরে, ওদের পরিবার থেকে একটা গদ্দার বেরিয়েছে বিজেপির টাকা নিয়ে, বলে দেব বাংলায় গদ্দারি করা চলবে না। তিনি যোগ করেন, আমার বিশ্বাস সংখ্যালঘু ভোট কোনওভাবেই ভাগ হবে না, তৃণমূলেই পড়বে, বিজেপিকে তাড়াতে হবে, ওরা বাংলার সংস্কৃতি জানে না।


এই প্রথম নয়। গতকালও আব্বাস সিদ্দিকিকে 'বাচাল ছেলে' বলে আক্রমণ করেছিলেন মমতা। আমতার সভায় মমতা বলেন, একটা বাচাল ছেলে বিজেপির টাকা নিয়ে সংখ্যালঘু ভোট ভাগাভাগি করতে চাইছে। তার আগে ‘চ্যাংড়া’, ‘শয়তান’ বলেও মমতা কটাক্ষ করেছিলেন আব্বাসকে। 


এখন কে কার ভোট কাটবে, আর তাতে কার লাভ, আর কার ক্ষতি হবে, তা জানা যাবে ২ মে-র পর।