সনৎ ঝা, দার্জিলিং: উত্তরবঙ্গের দুই বিজেপি ও কংগ্রেসের এক প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল তৃণমূল। যদিও বিজেপি প্রার্থীদের দাবি নিয়ম মেনেই তাঁরা মনোনয়ন জমা দেন। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেছেন কংগ্রেস প্রার্থী।


মনোনয়ন জমা দেওয়ার তিনদিন পর কার্যত তৃণমূলের বাউন্সারের মুখে পড়লেন উত্তরবঙ্গের তিন বিরোধী প্রার্থী। শিলিগুড়ির বিজেপি প্রার্থী শঙ্কর ঘোষ, মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি বিজেপি প্রার্থী আনন্দময় বর্মন এবং ওই কেন্দ্রেরই কংগ্রেস প্রার্থী শঙ্কর মালাকারের প্রার্থীপদ বাতিলের দাবিতে নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ দায়ের করল তৃণমূল। শাসক দলের দাবি, বিজেপির দুই প্রার্থীই নিয়ম ভাঙায় তাদের মনোনয়ন বাতিল করা হোক।


তৃণমূল কংগ্রেস, দার্জিলিং (সমতল)  জেলা সভাপতি, রঞ্জন সরকার বলেন, ‘‘শঙ্কর ঘোষ শিলিগুড়ির একটি স্কুলের সহ শিক্ষক। মাটিগাড়া-নকশালবাডড়ির বিজেপি প্রার্থী আনন্দময় বর্মন প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। দুই প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিলেও স্কুল কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেননি৷’’


তৃণমূলের অভিযোগ আমল দিতে চাননি দুই বিজেপি প্রার্থী। শিলিগুড়ি বিজেপি প্রার্থী শঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘‘যাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা আছে তারাই কিছু বলেনি, এর কোনও সারবত্তা নেই, ভোটে হার নিশ্চিত তাই এধরনের অভিযোগ করছে ৷’’


মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিজেপি প্রার্থী আনন্দময় বর্মন বলেন, ‘‘গত ভোটেও আমি প্রার্থী ছিলাম, কোনও প্রশ্ন আসেনি, স্কুল থেকেও অনুমতি নিতে হয়নি, তৃণমূল হার বুঝতে পেরে এধরনের অভিযোগ করছে ৷’’


মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির দু’বারের কংগ্রেস বিধায়ক তথা এবারের প্রার্থী শঙ্কর মালাকারের জাতিগত শংসাপত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। পাল্টা জবাব দিয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী। রঞ্জন সরকার এদিন আরও বলেন, ‘‘মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি সংরক্ষিত আসনে প্রার্থী শঙ্কর মালাকার, ২০১৯ সালে ওনার তফশিলি সার্টিফিকেট বাতিল হয়ে যায়। সেই সার্টিফিকেট দাখিল করে প্রার্থী হয়েছেন।’’


মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির কংগ্রেস প্রার্থী শঙ্কর মালাকার বলেন, ‘‘আমার সার্টিফিকেট বাতিল করলেও, হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ দেয়, তৃণমূলের চক্রান্ত নতুন কিছু নয়, যবে থেকে ওদের দলে যাইনি তখন থেকে এমন করছে ৷’’


আগামী ১৭ এপ্রিল মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি ও শিলিগুড়িতে ভোট ৷ কমিশন সূত্রে খবর, তৃণমূলের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।