নয়াদিল্লি: ভর্তুকিযুক্ত রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ১০ টাকা করে কমছে। এই সিদ্ধান্ত সমবেতভাবে নিয়েছে দেশের তিন বৃহৎ জ্বালানি সরবরাহ সংস্থা-- ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন, ভারত পেট্রোলিয়াম ও হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম। নতুন দাম বুধবার মধ্যরাত থেকে কার্যকর হবে।


এই মূল্যহ্রাসের ফলে, বৃহস্পতিবার থেকে কলকাতায় ১৪.২ কেজি ভর্তুকিযুক্ত রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের দাম হবে ৮৩৫.৫০ টাকা। একইভাবে, দিল্লি ও মুম্বইতে ডমেস্টিক এলপিজি সিলিন্ডারের দাম হবে ৮০৯ টাকা। অন্যদিকে, চেন্নাইতে এর দাম হবে ৮২৫ টাকা। 


এর আগে, ১ মার্চ ২৫ টাকা বেড়ে কলকাতায় ১৪.২ কেজি সিলিন্ডারের দাম হয়  ৮৪৫ টাকা ৫০ পয়সা। গত ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে একমাসের মধ্যে চার-চারবার বাড়ে রান্নার গ্যাসের দাম। অর্থাৎ, একমাসে দাম বাড়ে ১২৫ টাকা। আর গত তিনমাসের হিসেব ধরলে এলপিজি-র দাম বেড়েছে ২২৫ টাকা!


শুধু ভর্তুকিযুক্তই নয়, বেড়েছে বাণিজ্যিক গ্যাসের দামও। ৯৭ টাকা ৫০ পয়সা বেড়ে গত ১ মার্চ থেকে কলকাতায় ১৯ কেজি সিলিন্ডারের দাম হয় ১৬৮১ টাকা ৫০ পয়সা।


প্রসঙ্গত, প্রতিমাসে গ্যাস সিলিন্ডারের দাম মূল্যায়ন করে থাকে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি। সাম্প্রতিককালে, ধাপে ধাপে এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ১২৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। 


ভারতে রান্নার গ্যাসের দাম নির্ভর করে সাধারত দুটি বিষয়ের ওপর। এক- আন্তর্জাতিক বাজারে অশোধিত তেলের মূল্য ও  দুই- ডলারের তুলনায় টাকার দর। 


বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্বে নতুন করে করোনা সেকেন্ড ওয়েভ-এর ভ্রুকুটি বাড়তে থাকায়, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কিছুটা পড়তে শুরু করে মার্চের দ্বিতীয় ভাগে। 


বিশেষ করে, ইউরোপের বেশ কয়েকটি জায়গায় নতুন করে লকডাউনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কয়েকটি দেশে ইতিমধ্যে কার্যকরও হয়েছে। ফলে, অনেকে ফের গৃহবন্দি হয়ে পড়েছেন। ফলে, বাড়িতে রান্নার গ্যাসের প্রয়োজনীয়তা বাড়তে শুরু করেছে।


২০১৪ সালে ভারতে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারের হার ছিল শতকরা ৫৫ শতাংশ। ২০২১ সালে দাঁড়িয়ে তা বেড়ে ৯৯ শতাংশ হয়ে গিয়েছে।