হুগলি: বাংলায় বিজেপি-নেতৃত্বাধীন সরকার গঠন কার্যত সময়ের অপেক্ষা বলে দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী। এমনকী, প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকে কী কী সিদ্ধান্তগ্রহণ হবে, বাংলার ভাবী মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে এদিন তাঁর ইঙ্গিতও দিয়ে রাখলেন নরেন্দ্র মোদি। 


এদিন হুগলির জনসভায় মোদি বলেন, ১০ বছরে যা হওয়ার হয়ে গেছে, এবার বাংলার সেবা করার সুযোগ আসছে আমাদের কাছে। বাংলায় বিজেপি সরকারের শপথগ্রহণের সময় আমি আসব, বাংলায় নতুন মুখ্যমন্ত্রীকে বলব, দিল্লির টাকা আনতে প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নিন। 


এখানেই থেমে না থেকে তিনি রাজ্য নেতৃত্বর উদ্দেশ্যে মঞ্চ থেকেই নির্দেশ দেন, "যেখানে ভোট হয়ে গেছে, সেখানে কৃষকদের তালিকা তৈরি করে ফেলুন, বাংলায় আসল পরিবর্তনের জন্য আর ৩০দিনেরও কম সময়। ২ মের পর সোনার বাংলা ফিরিয়ে আনব।


 



 


তৃণমূলকে আক্রমণ করে মোদি বলেন, দেশজুড়ে আয়ুষ্মান ভারত চালু হয়েছে, কিন্তু দিদি করতে দিচ্ছেন না। বিজেপির ডবল ইঞ্জিন সরকার দ্রুত গতিতে উন্নয়নের কাজ করবে। তারকেশ্বরের মতো পবিত্র স্থানেও তৃণমূল তোষণের রাজনীতি করেছে। তারকেশ্বরেও উন্নয়নের কাজ হবে, বাংলার মানুষের আর্শীবাদে সেই কাজ আমরা করব। তৃণমূলের সিন্ডিকেটের জন্য উন্নয়ন পদে পদে বাধা পাচ্ছে। 


বহিরাগত-তত্ত্ব নিয়ে এদিন ফের রাজ্যের শাসক দলের সমালোচনা করেন মোদি। বলেন, ‘নেতাজির পরাক্রম দেশের সর্বত্র পালিত হচ্ছে। আজ দুঃখ হয় নেতাজির দেখানো পথে না হেঁটে মমতা বহিরাগত বলেন। এটা নেতাজির অপমান, দেশের সংবিধানেরও অপমান।’ প্রধানমন্ত্রী যোগ করেন, ‘দেশের সব রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী ভূমিপুত্রই হয়েছেন। ২ মে-র পর বাংলাতেও ভূমিপুত্রই মুখ্যমন্ত্রী হবেন।’


নির্বাচন কমিশন ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও এদিন কটাক্ষ করেন মোদি। বলেন, ‘দিদি যতই নিজেকে কুল বলুন, আপনার কাজেই সব স্পষ্ট। ছাপ্পা বোট দিতে না পেরে কমিশনকে, বাহিনীকে নিশানা করছেন। ১০ বছর আগে এই কমিশন, বাহিনীকেই আপনার ভাল লাগত। বাংলার মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছেন।’


বিজেপিকে আক্রমণ করার জন্যও এদিন মমতার সমালোচনা শোনা যায় প্রধানমন্ত্রীর গলায়। বলেন, ‘বিজেপির এত কর্মীকে খুনের পরেও কেন এত রাগ দিদি? সিন্ডিকেট-তোলাবাজির রাজ চালানোর পরেও কেন এত রাগ দিদি। বালি-কয়লা কেলেঙ্কারির পরও কেন এত রাগ দিদি।’