খড়্গপুর : মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় বেঘোরে প্রাণ হারালেন ৩ রেলকর্মী। দুঁয়া স্টেশনের কাছে লাইনের ওপর কাজ করছিলেন গ্যাং ম্যানরা। সেই সময় তাদের ধাক্কা মারে হাওড়া থেকে সেকেন্দ্রবাদগামী বিশেষ এক্সপ্রেস ট্রেন।
সকাল সোওয়া ১০টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে। মোট পাঁচ জন কাজ করছিলেন ট্র্যাকে নেমে। দুর্ঘটনার কিছুটা আগে একজন জল আনতে গিয়েছিলেন। ট্রেনটি যখন ট্র্যাকে এসে পড়ে তখন সেখানে ছিলেন চারজন। ট্রেনের ধাক্কায় ৩ জনের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। ওই ট্রেনেই আহতকে খড়গপুরে রেল হাসাপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয়। মৃতদের দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।
এরকম মর্মান্তিক দুর্ঘটনা কীভাবে ঘটল তা জানতে ট্রেনের চালকের সঙ্গে কথা বলা হবে। তিনি হর্ণ বাজিয়েছিলেন কি না, সে নিয়েও জানতে চাওয়া হবে। খড়গপুর ডিভিশনাল ম্যানেজার মনোরঞ্জন প্রধান বলেছেন, 'আহতের সঙ্গে কথা বলতে পারিনি। ঠিক কী ঘটেছে রেল তদন্ত করে দেখবে।'
কিছুদিন আগে কাঁসরো স্টেশনের কাছে দিল্লি-দেহরাদুন শতাব্দী এক্সপ্রেসে আগুন লাগে। দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় আগুন লাগায় রক্ষা পান যাত্রীরা। দাউদাউ করে আগুন লাগার সেই দৃশ্যে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। দ্রুত যাত্রীদের ট্রেন থেকে বার করা হয়। শর্ট সার্কিট থেকে সি-৪ কামরায় আগুন লাগে বলেই অনুমান রেলের।
উত্তরাখণ্ডের এক সরকারি কর্তা জানিয়েছেন, দিল্লি-দেহরাদুন শতাব্দী এক্সপ্রেসে সি-৪ কামরায় আগুন লেগে যায়। শর্ট সার্কিটের জেরে আগুন লেগে যায় বলে ধারণা। সি-৪ কম্পার্টমেন্টে এই আগুন লেগে যায়। সব যাত্রীকে সরিয়ে আনা হয়েছে। সেবার অবশ্য কোনও হতাহতের খবর কোনও খবর ছিল না।
ওই কামরায় ছিলেন ৩৫ জন যাত্রী। আগুন লেগেছে এই আঁচ পেয়েই তাঁরাই রেল পুলিশকে খবর দেন। তৎক্ষণাৎ, ওই কামরাকে আলাদা করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার ফলেই কেউ আহত হননি বলে দাবি রেলের।
এবারে অবশ্য কিছু হতভাগ্যকে বেঘোরে প্রাণ হারাতে হল।