অমিতাভ রথ, ঝাড়গ্রাম: ভোটের দিন যত এগিয়ে আসছে, ততঅ বাড়ছে রাজনৈতিক হিংসা। এবার ভোটের মুখে ঝাড়গ্রামে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে মৃত্যু হল এক তৃণমূল কর্মীর।
বিজেপির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলেছে শাসকদল। পাল্টা তৃণমূলের বিরুদ্ধে দলীয় কর্মীকে মারধরের অভিযোগ করেছে বিজেপি। দু’পক্ষের ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
তৃণমূলের অভিযোগ, তাঁদের কর্মীকে পিটিয়ে খুন করেছে বিজেপি। অথচ পুলিশের প্রাথমিক রিপোর্টে দাবি করা রয়েছে, মৃতের গায়ে আঘাতের চিহ্ন নেই। তবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ কী? রাজনৈতিক সংঘর্ষে খুন, নাকি অন্য কোনও কারণ?
ভোটের সপ্তাহ খানেক আগে, ঝাড়গ্রামে তৃণমূল কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় চড়ছে রাজনীতির পারদ। রবিবার রাতে, অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়, দুর্গা সোরেন নামে এই তৃণমূল কর্মীর।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গোপীবল্লভপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত, নেতুরা বাজার এলাকায় তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের মারে গুরুতর আহত হন দুর্গা সোরেন। ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে আহতকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা।
অভিযোগ মানত নারাজ গেরুয়াশিবির। তাদের পাল্টা দাবি, তৃণমূল কর্মীদের মারধরে এক বিজেপি কর্মীর হাত ভেঙে যায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঝাড়গ্রাম থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে মৃত তৃণমূল কর্মীর পরিবার। সেখানে কোনও রাজনৈতিক দলের নাম উল্লেখ নেই। উল্টে, ব্যক্তিগত আক্রোশের অভিযোগ তুলে ৭-৮জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে, তৃণমূল ও বিজেপি একে অপরের বিরুদ্ধে, ঝাড়গ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।ঘটনায় একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে পুলিশও।পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ঘটনায় দুই তৃণমূল ও দুই বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ২৭ মার্চ প্রথম দফা নির্বাচনের দিনই ঝাড়গ্রামের ৪টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ।
এদিকে, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভাঙড়ে আব্বাস অনুগামীর বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বোদরা এলাকায়।
অভিযোগ, গতকাল রাতে আইএসএফ কর্মী আজিত মোল্লার বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। গোটা বাড়িই পুড়ে যায়। কোনক্রমে বাইরে বেরিয়ে আসায় অল্পের জন্য রক্ষা পান আইএসএফ কর্মীর পরিবারের সদস্যরা।
গতকাল ভাঙড়ের বিজয়গঞ্জ এলাকায় সংযুক্ত মোর্চার সভায় উপস্থিত ছিলেন বিমান ও বসু ও আব্বাস সিদ্দিকি। সেই সভায় যাওয়ার কারণেই হামলা বলে আইএসএফ নেতৃত্বের অভিযোগ। হামলা-যোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।