পশ্চিম মেদিনীপুর: ভোট মানেই রাজনীতির হিসেব-নিকেশ৷ ভোট মানেই ভোটব্যাঙ্কের যোগ-বিয়োগ৷ আর ভোট মানেই আয়-ব্যয়ের খতিয়ান৷ পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত সিপিএম প্রার্থী পুলিনবিহারী বাস্কে। তাঁর লড়াই তৃণমূলের পরেশ মুর্মু এবং বিজেপির সোনালি মুর্মুর সঙ্গে। জমে উঠেছে প্রচার। গত ৮ মার্চ নির্বাচন কমিশনের কাছে মনোনয়নের সঙ্গে হলফনামা দিয়েছেন সিপিএম প্রার্থী। হলফনামায় জানিয়েছেন, তাঁর বিষয়-আশয়ের খতিয়ান।
হলফনামা অনুযায়ী, মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় সিপিএম প্রার্থীর হাতে নগদ ছিল ২ হাজার টাকা। সেভিংস অ্যাকাউন্ট, ফিক্সড ডিপোজিট সহ অন্যান্য মিলিয়ে কেশিয়াড়ির সিপিএম প্রার্থীর ব্যাঙ্কে জমা আছে প্রায় ১৬ লক্ষ টাকা। বন্ড, শেয়ার, এনএসএস ও মিউচুয়াল ফান্ডে কোনও সঞ্চয় নেই পুলিনবিহারী বাস্কের। হলফনামা অনুযায়ী, ২০১০ সালের মডেলের একটি হিরো স্প্লেন্ডার বাইক আছে সিপিএম প্রার্থীর। এখন যার দাম ৭৫ হাজার টাকা। আর আছে ৫০ গ্রাম সোনা। যার দাম ২ লক্ষ টাকা। সব মিলিয়ে পুলিনবিহারী বাস্কের মোট অস্থাবর সম্পত্তি ২১ লক্ষ ৪৪ হাজার ১১ টাকা।
শুধু অস্থাবর সম্পত্তির হিসেব দেওয়াই নয়, হলফনামায় কেশিয়াড়ির সিপিএম প্রার্থী জানিয়েছেন,তাঁর বা স্ত্রীর নামে কোনও কৃষি জমি নেই। স্থাবর সম্পত্তি হিসেবে দম্পতির নামে রয়েছে অকৃষি জমি। সিপিএম প্রার্থীর নামে কোনও বসত বাড়ি না থাকলেও তা আছে তাঁর স্ত্রীর নামে।
হলফনামা অনুযায়ী, সিপিএম প্রার্থীর স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ১০ লক্ষ টাকা। তাঁর স্ত্রীর স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৫২ লক্ষ টাকা। অর্থাত্, পুলিনবিহারী বাস্কে ও তাঁর স্ত্রীর মোট স্থাবর সম্পত্তি ৬২ লক্ষ টাকার। দম্পতির স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৮৩ লক্ষ ৪৪ হাজার ১১ টাকা।
হলফনামায় সিপিএম প্রার্থী জানিয়েছেন, তাঁর নামে ফৌজদারি মামলা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২৭ মার্চ, প্রথম দফায় ভোটগ্রহণ হবে কেশিয়াড়িতে।