সমীরণ পাল, বারাসত: আর কয়েকদিন পরেই রাজ্যে প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। তার ঠিক আগে অনুন্নয়নকে সামনে রেখে সব রাজনৈতিক দলের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করছেন উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত পুর এলাকার একটি অংশের বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, এলাকার রাস্তাঘাট থেকে নিকাশি ব্যবস্থার বেহাল দশা বারবার পুরসভাকে জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। প্রত্যেকবার ভোট এলে তাঁদের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়, নির্বাচনের পরে কাজ হবে। তাই এবারের নির্বাচনে তাঁদের আর কোনও উৎসাহ নেই।


রাস্তা, নিকাশি ব্যবস্থা ও পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়নি। সেকারণে ক্ষোভে ফুঁসছেন  বারাসত পুরসভার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের ছাত্র সংঘ গলির বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে নানা জায়গায় দরবার করেও এলাকার রাস্তাঘাট, পরিশ্রুত পানীয় জল ও নিকাশ ব্যবস্থার কোনও উন্নয়ন হয়নি। ফলে এলাকার প্রায় তিন শতাধিক মানুষ নাগরিক পরিষেবা থেকে বঞ্চিত। তাই বাধ্য হয়ে তাঁরা পুর পরিষেবা পাচ্ছেন না বলে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। আজ প্ল্যাকার্ড হাতে এলাকার মহিলা, শিশু, বৃদ্ধ সকলে মিলে বিক্ষোভে সামিল হন।


এ বিষয়ে বারাসাত পুরসভার মুখ্য প্রশাসক সুনীল মুখোপাধ্যায়ের দাবি, ‘গত ১০ বছরে ক্ষমতায় থাকার ফলে ওই এলাকার রাস্তাঘাট এবং নিকাশি ব্যবস্থার উন্নয়নের কাজ করা হয়েছে।’


তাঁর আরও দাবি, পুরপ্রধান হওয়ার পর ওই এলাকায় গিয়ে তিনি ক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন। কিন্তু এখন ছবিটা অনেক বদলে গেছে। রাস্তা সহ অন্যান্য বিষয়ের উন্নয়নের জন্য অর্থ বরাদ্দ হলেও, কী কারণে সেই কাজ হয়নি তা খোঁজ নিয়ে দেখবেন।


ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বারাসতের বিধায়ক, সবাই বলছেন কাজ সব হয়ে গেছে। সেখানে বারাসত শহরের বুকে এই ধরনের বিক্ষোভ আসন্ন নির্বাচনে শাসক দলের ভোটবাক্সে কতটা প্রভাব ফেলবে সেটা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে।


অন্যদিকে, বিজেপি প্রার্থী তথা বারাসাত সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি শঙ্কর চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ‘গত ১০ বছরে বারাসত পৌরসভা কোনও কাজই করেনি। ভোট প্রচারে ওখানে যাব সেখানকার মানুষকে বোঝাব। তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দেব যে আমরা ক্ষমতায় এলে এই সমস্ত অনুন্নয়ন দূর করব।’