সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগে, গতকালই রাজ্যে এসেছে ১২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে রুটমার্চ। রাজ্যে বাহিনী আসতেই ভোটারদের হুমকি তৃণমূলের। ভাঙড়ের ভোগালি ২ নম্বর পঞ্চায়েতের প্রধান তথা তৃণমূল নেতা মুদাস্সর হোসেন বললেন, ‘এবার বিরোধীশূন্য খেলা হবে, শুধু ভোট করাবে তৃণমূল। তৃণমূলের লোক ছাড়া কেউ ভোট দিতে যেতে পারবে না। যারা তৃণমূলকে ভোট দেবে না, ঘরে শুয়ে থাকবে।কেন্দ্রীয় বাহিনী বুথে থাকবে, আমাদের ছেলেরা মাঠে খেলবে। এবার বুথের ১৪ হাজার ভোটই পাবে তৃণমূল। তিনি বলেছেন, বুথের ১৪ হাজার ভোটই চাই। তা যতই কেন্দ্রীয় বাহিনী থাক। এখানে অন্য কোনও দল থাকবে না।
গতকাল কর্মিসভায় তৃণমূল নেতা তথা ভাঙড়ের প্রাক্তন বিধায়ক আরাবুল ইসলামের উপস্থিতিতেই এই হুঁশিয়ারি দেন পঞ্চায়েত প্রধান
পাল্টা বিজেপি বলেছে, ‘এবার ভোট করাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী।গত ভোটের পুনরাবৃত্তি হবে না।
তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের ওই বিতর্কিত মন্তব্যের সমালোচনায় সরব হয়েছে বিরোধী দলগুলি। বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের অভিযোগ, তৃণমূলের শীর্ষস্তর থেকে নির্দেশের প্রতিফলন ঘটছে তাদের নিচের সারির নেতাদের কথায়। ভেতরে ভেতরে তৃণমূল নির্দেশ দিচ্ছে, যাতে মানুষ ভোট দিতে না পারে। তৃণমূল যাতে ভোট লুঠ করতে পারে। ভোট লুঠ ছক এভাবেই তৈরি করছে তৃণমূল।
অন্যদিকে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, দুই শাসক দল মিলিয়ে খেলা হবে খেলা হবে করে সবকিছু গুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। বিজেপি ও তৃণমূল উভয় দলকেই মনে রাখতে হবে যে, রাজনীতি দায়বদ্ধতার বিষয়। এভাবে পরিবেশটাকে গুলিয়ে দেওযার চেষ্টা করা একেবারেই ঠিক নয়।
অন্যদিকে, তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বিষয়টি লঘু করে বলেছেন, দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করতে এটা ভোকাল টনিক। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, এক্ষেত্রে একটু সংযত হল ভালো হত। মানুষ ভোট দেবেন।
পাশাপাশি তিনি বলেছেন, বিজেপি যেভাবে রোজ কেন্দ্রীয় বাহিনীর জুজু দেখাচ্ছে, তার উল্টো দিকে এমন কথা হচ্ছে।