সুকান্ত দাস, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সিপিএম- তৃণমূল সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতুলি। সিপিএমের অভিযোগ, গতকাল রাতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের ছোড়া বোমার আঘাতে আহত হয়েছেন তাদের এক স্থানীয় নেতা। পাল্টা তৃণমূলের অভিযোগ, সিপিএমের ওই নেতাই দলবল নিয়ে হামলা চালায়। তাতে তৃণমূলের এক কর্মী আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় পুলিশ ৫ জনকে আটক করেছে।  


জেলায় জেলায় অশান্তি অব্যাহত। ভোটের মুখে চলছে ফ্রিস্টাইল মারামারি। শুধু ঘটনাভেদে পাল্টে যাচ্ছে হামলাকারী ও আক্রান্তের নাম। এবার সিপিএম তৃণমূল সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হল দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতুলি। সিপিএমের অভিযোগ, মঙ্গলবার সন্ধে ৬টা নাগাদ জনসংযোগ কর্মসূচি সেরে ঘটি হারানিয়া এলাকা দিয়ে এক সঙ্গীর বাইকে ফিরছিলেন স্থানীয় সিপিএম নেতা হালিম সর্দার। সেই সময় তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা  ছোড়া হয়। বোমার স্প্লিন্টারের আঘাতে জখম হন নলগড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রধানের স্বামী হালিম। তাঁর সঙ্গী আহত হালিমকে নিয়ে দ্রুত এলাকা ছাড়েন।


এরপর বাড়ি থেকে কয়েকজন সঙ্গীসহ গাড়িতে হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেন হালিম। অভিযোগ, রাস্তায় তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে সিপিএম নেতা ও তাঁর দলবলের বচসা, মারামারি হয়। গাড়ির কাচ ভাঙে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কুলতলি থানার পুলিশ। তারাই সিপিএম নেতাকে রায়দিঘি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করে। ঘটনায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে সিপিএম।


তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, নলগড়াতে দলের কর্মীরা পথসভা করার সময় সিপিএম নেতা হালিম ও তাঁর দলবল হামলা চালায়। তৃণমূল কর্মীদের মারধর করে। তৃণমূল কর্মী প্রদ্যুত্‍ অধিকারী গুরুতর জখম হন। তাঁকে এসএসকেএমে স্থানান্তরিত করা হয়। এই ঘটনায় কুলতলি থানার পুলিশ ৫ জনকে আটক করেছে।  


অন্যদিকে, ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ভাঙড় থেকে ফের উদ্ধার হল বোমা। ভোটের মুখে পরপর দু’দিনে একই এলাকা থেকে প্রায় তিন ডজন বোমা উদ্ধার হল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে চালতাবেড়িয়া এলাকায় আবারও অভিযান চালায় কাশীপুর থানার পুলিশ। খালপাড়ে একটি বস্তার মধ্যে থেকে উদ্ধার হয় ১৩টি তাজা বোমা। এর আগে রবিবার মাঝরাতে চালতাবেড়িয়ার একটি বাঁশবাগান থেকে ২১টি তাজা বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। ভোটের আগে বোমা মজুত করা হচ্ছিল বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের।