সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: নিজের বিধানসভা এলাকায় বিজেপির পরিবর্তন যাত্রা। অথচ সেখানে হাজির থাকলেন না বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক তথা বিজেপি নেতা বিশ্বজিত্‍ দাস। তবে কি তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন? অনুপস্থিতি ঘিরে শুরু হয়েছে জল্পনা। এনিয়ে গেরুয়া শিবিরকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। যদিও বিজেপি নেতার দাবি, শারীরিক অসুস্থতার কারণেই রথযাত্রায় যাননি তিনি।


গত ৮ ফেব্রুয়ারি, বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে গিয়ে দেখা করেছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন। তখন থেকেই বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক  বিশ্বজিৎ‍ দাসের বিজেপি থেকে তৃণমূলে ফেরার জল্পনা জোরাল। এবার নিজের এলাকায় বিজেপির পরিবর্তন যাত্রাতেও দেখা গেল না গেরুয়া শিবিরের এই বেসুরো নেতাকে। শুভেন্দু অধিকারী থেকে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বৈশালী ডালমিয়া থেকে প্রবীর ঘোষাল ৷ ভোটের আগে যখন তৃণমূল ছাড়ার হিড়িক, তখন কি স্রোতের বিপরীতে গিয়ে বিজেপি থেকে তৃণমূলে ফিরতে পারেন বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক? এই প্রশ্নই এখন জোরাল। ইতিমধ্যেই বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি।


আর বৃহস্পতিবার, বিজেপির পরিবর্তন যাত্রায় বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক আমন্ত্রিত থাকলেও, হাজির হননি তিনি। এদিন বনগাঁ দক্ষিণ বিধানসভা এলাকার নিমতলায়, রথের উদ্বোধন করেন বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় জলসম্পদ প্রতিমন্ত্রী, সঞ্জীব বালিয়ান। রথ, বনগাঁ উত্তর ঘুরলেও, সেই কর্মসূচিতে দেখা যায়নি স্থানীয় বিধায়ককে। যা নিয়ে বিজেপির দিকে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছে তৃণমূল।


গোপাল শেঠ, কোঅর্ডিনেটর, তৃণমূল কংগ্রেস, উত্তর ২৪ পরগনা বলেন, বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। ওদের গণ্ডগোল। তাই যায়নি। যদিও বিজেপি নেতা তথা বিধায়ক বিশ্বজিত্‍ দাসের দাবি, শারীরিক অসুস্থতার কারণে কর্মসূচিতে যোগ দিতে পারেননি তিনি। একই দাবি করেছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বও। দেবদাস মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক, বিজেপি, বনগাঁ সংগঠনিক জেলা বিধায়ককে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে কিন্তু তিনি তিন দিন ধরে অসুস্থ তাই আসতে পারেন নি।


এদিন রথযাত্রা কর্মসূচির মাঝেই, বনগাঁয় চৌবেড়িয়ায় নাট্যকার, দীনবন্ধু মিত্রের বাড়িতে যান উত্তরপ্রদেশের বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয়মন্ত্রী সঞ্জীব বালিয়ান।