কলকাতা: প্রার্থী নিয়ে অসন্তোষের জেরে হেস্টিংসে বিজেপির পার্টি অফিসের বাইরে দফায় দফায় বিক্ষোভ। বিজেপি নেতা শিব প্রকাশ , মুকুল রায়, অর্জুন সিংহ সামনেই ভাঙল ব্যারিকেড। পাঁচলা, উদয়নারায়ণপুরের পর রায়দিঘিতেও বিজেপি প্রার্থী নিয়ে অসন্তোষ। হেস্টিংসে বিজেপির নির্বাচনী কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন দলীয় কর্মীরা। অফিসে ঢুকতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন অর্জুন সিংহ। ক্ষোভের মুখে পড়েন মুকুল রায়ও। ওই আসনগুলিতে দলীয় প্রার্থীদের বিরুদ্ধে স্লোগান বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের একাংশের।
প্রথমে মোহিত ঘাঁটির বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ জানাতে থাকেন দলের কর্মীদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, ‘তৃণমূল থেকে বিজেপিতে এসেই টিকিট পেয়েছেন। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলেই টিকিট পেয়েছেন।নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। পরে আবার রায়দিঘির প্রার্থী নিয়ে দলীয় অফিসের সামনে বিক্ষোভ শুরু হয়।
উল্লেখ্য, বিজেপির প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পরই তীব্র হয়েছ অসন্তোষ। কুলতলি, জয়নগর ও রায়দিঘিতে প্রার্থী বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ দেখালেন বিজেপি কর্মীদের একাংশ। প্রার্থী নিয়ে ক্ষোভ আমল দিতে চাইছে না বিজেপি। যা নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে তৃণমূল।
তৃতীয় ও চতুর্থ দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর বিজেপি কর্মীদের ক্ষোভের আগুন পৌঁছেছে খাস কলকাতায়। বিজেপির নির্বাচনী হেডকোয়ার্টার হেস্টিংস অফিসে।
আবার হাওড়ার পাঁচলায় প্রার্থী বদলের দাবিতে দলেরই অফিস ভাঙচুর করেন বিজেপি কর্মীরা।প্রার্থী পছন্দ না হওয়ায় সিঙ্গুরে ভিনরাজ্য থেকে আসা বিজেপির মন্ত্রীকে তালাবন্দি করা রাখা হয়।বিজেপির প্রার্থী নিয়ে ক্ষোভ ছড়াল দক্ষিণ ২৪ পরগনার একের পর এক বিধানসভা কেন্দ্রেও।
জয়নগরের প্রার্থী হিসেবে রবীন সরদারের নাম বিজেপি ঘোষণা করে। যিনি বিজেপি পরিচালিত মায়াহাউড়ি পঞ্চায়েতের প্রধান।যদিও তাঁকে প্রার্থী হিসেবে মানতে নারাজ জনয়গরের বিজেপি কর্মীদের একাংশ। প্রার্থী বদলের দাবিতে সোমবার জয়নগরের বুড়োর ঘাটে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে হয় বিক্ষোভ। বিক্ষোভকারীদের একজন বলেন,উনি পঞ্চায়েত চালাতে পারেন, বিধানসভার জন্য নয়, ভাল মুখকে প্রার্থী করতে হবে।
জয়নগরের পাশের কেন্দ্র কুলতলিতেও প্রার্থী বদলের দাবিতে এদিন পথে নামেন বিজেপি কর্মীদের একাংশ। জামতলা বাজারে চলে বিক্ষোভ।এই কেন্দ্রে মিন্টু হালদারকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। যিনি বারুইপুর পূর্ব জেলার সাধারণ সম্পাদক।প্রার্থী ঘোষণার পরপরই রায়দিঘিতে বিজেপির বিক্ষোভ দেখানোর কারণ অবশ্য আলাদা। এই কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী শান্তনু বাপুলি বর্তমানে তৃণমূল পরিচালিত জেলা পরিষদের ভূমি কর্মাধ্যক্ষ।স্থানীয় সূত্রে খবর, তিনি তৃণমূল ছেড়েছেন কি না তাও স্পষ্ট নয়।এমন একজন নেতাকে প্রার্থী করায় বেজায় ক্ষুব্ধ রায়দিঘির বিজেপি কর্মীদের একাংশ।
যদিও প্রার্থী নিয়ে বিক্ষোভকে আমল দিচ্ছে না বিজেপি। প্রার্থী নিয়ে বিক্ষোভ ঘিরে বিজেপিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল।গত লোকসভা ভোটের নিরিখে দক্ষিণ ২৪ পরগনার একত্রিশটি আসনেই পিছিয়ে আছে বিজেপি।তৃণমূলের দাপট যে জেলায়, সেখানে বিধানসভা ভোটের মুখে প্রার্থী অসন্তোষ বিজেপিকে কি বেকায়দায় ফেলতে পারে?
উত্তর মিলবে ২ মে।