ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, ডোমজুড়: চেনা মাঠে নতুন দলের পতাকা হাতে বিজেপির রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোট প্রচারে ডোমজুড়ের আনাচে-কানাচে ঘুরছেন বিজেপি প্রার্থী। চেনা গ্রাউন্ডে জয়ের ব্যাপায়ে আশাবাদী বিজেপি প্রার্থী।


তৃণমূলের দু’বারের বিধায়ক। ২০১৬-র নির্বাচনে লক্ষাধিক ভোটে জিতেছিলেন। এবার লড়াই সেই তৃণমূলের বিরুদ্ধেই। ২০১১-এর পরিবর্তনের ভোটে বামেদের গড় ডোমজুড়ে ঘাসফুল ফুটিয়েছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভায় সেচ, অনগ্রসর উন্নয়ন ও বন দফতরের দায়িত্ব সামলেছেন। বিধানসভা ভোটের মুখে দলবদলের পর সেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ই এখন লড়ছেন বিজেপির হয়ে। 


এক দশক আগে যিনি বামদুর্গে ঘাসফুল ফুটিয়েছিলেন, তিনি কি এবার পারবেন তৃণমূলের গড়ে পদ্ম ফোটাতে? সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।


রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূলের কল্যাণেন্দু ঘোষ ও সিপিএমের উত্তম বেরা। পুরনো মাঠে নতুন দলের ঝান্ডা নিয়ে ভোটপ্রচারে নেমেছেন ‘ডোমজুড়ের ঘরের ছেলে’। কখনও কর্মিসভা, কখনও এলাকায় ঘুরে প্রচার। জমকালো র‍্যালি। হুডখোলা গাড়িতে করে জনসংযোগ। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নিজের বিধানসভা অঞ্চলের অলিগলি চষে ফেলছেন বিজেপি প্রার্থী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, ‘এখানে আমি জিতব। লোকজনকে দেখলেই বুঝতে পারবেন।’


রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনীতিতে প্রবেশটা বেশ চমকপ্রদ। সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের প্রাক্তনী। ১৯৮৮ সালে সেখান থেকে স্নাতক হন। ১৯৯০ সালে কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশনে ডিপ্লোমা। তারপর ১৯৯৫ সালে আইআইএমই থেকে এমবিএ পাশ করেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কাকা মৃত্যুঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেস আমলে শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন। সেই সূত্রেই রাজীবের রাজনীতিতে প্রবেশ। ডোমজুড়ে বিজেপি প্রার্থী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, ‘অঞ্চল চিনি, মানুষকে চিনি, প্রচার করছি।’


একসময় বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘মা’ বলেছিলেন। বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি হাতে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। এখন সেই তিনিই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ঝাঁঝালো আক্রমণ শানাচ্ছেন। নাটকীয়তায় ভরা রাজীবের নতুন ইনিংসেও কি চমক থাকবে? ডোমজুড়ে কি পদ্মফুট ফোটাতে পারবেন মোদি-শাহের অন্যতম ট্রাম্পকার্ড রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়? উত্তর মিলবে ২ মে।