অর্ণব মুখোপাধ্যায় ও অরিত্রিক ভট্টাচার্য, কলকাতা: গায়ে তারকা তকমা। প্রচারে অবশ্য সে সব কেউ বুঝতে দিচ্ছেন না স্টার প্রার্থীরা। বিজেপি, তৃণমূল বা বাম। সব দলের তারকা প্রার্থীরাই বোঝাতে চাইলেন তাঁরা ঘরের লোক।


তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় তারকার ছড়াছড়ি ৷ কম যায় না বিজেপিও ৷ বামেদের প্রার্থী তালিকাতেও জায়গা করে নিয়েছেন ছোট পর্দার অভিনেতা। 


স্টারদের বড় অংশই এই প্রথম ভোটযুদ্ধে। এই যেমন ব্যারাকপুরের তৃণমূল প্রার্থী রাজ চক্রবর্তী। প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর রাজ চক্রবর্তীর বিরোধিতায় নামে তৃণমূলের একাংশ। ক্ষোভ প্রকাশ করেন তৃণমূল নেতা তথা ব্যারাকপুর পুরসভার প্রশাসক উত্তম দাস। পরে অবশ্য তাঁরা ক্রিকেটও খেলেন। 


অতীত ভুলে উত্তম দাসকে শনিবার দেখা গেল রাজ চক্রবর্তীর সঙ্গে। ব্যারাকপুর পুর এলাকার এক নম্বর ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি প্রচারে দেখা গেল তৃণমূলের তারকা প্রার্থীকে। রাজকে দেখে মুহূর্তের মধ্যে ভিড় জমে যায়। শুরু হয় সেলফি তোলার ধুম।


যুব তৃণমূলে দীর্ঘদিন থাকলেও হিরণ চট্টোপাধ্যায়কে প্রার্থী করেনি দল। বিজেপিতে যোগ দিয়েই হিরণ পেয়ে গেছেন খড়গপুর সদরের মতো গুরুত্বপূর্ণ আসন। দিলীপ ঘোষের ছেড়ে আসা এই কেন্দ্রে উপনির্বাচনে ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি।সেখানে ভোটের লড়াইয়ে নবাগত হিরণ জোর দিলেন জনসংযোগে। শনিবার খড়গপুরের  একাধিক মন্দিরে পুজো দেওয়ার পাশাপাশি আলাপ করলেন উৎসাহীদের সঙ্গে।


খড়গপুর সদরের বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ‘সাধারণ মানুষ আমাকেই ভোট দেবেন। দিলীপদা পাশে আছেন। কাল অমিত শাহের রোড শো আছে। সাধারণ মানুষ কাজ চাইছে। সেই লক্ষ্যে এগোচ্ছি।’


ছোট পর্দার পরিচিত মুখ দেবদূত ঘোষ এবার টালিগঞ্জের সিপিএম প্রার্থী। তারকা-সুলভ আচরণ নয়, একবারে ভিড়ের সঙ্গে মিশে গিয়ে শনিবার বাঁশদ্রোণী এলাকায় প্রচার করেন টালিগঞ্জের সিপিএম প্রার্থী দেবদূত ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘দেখছেন তা জিনিসপত্রের কী দাম, আমার বাজার করতে সমস্যা হচ্ছে, আমরা দোষারোপ করব না ১০ বছরে কী হল ?’’


শনিবার মনোজ তিওয়ারির কাছে যেন টেম্পল ভিজিট ডে। শিবপুর বিধানসভার তৃণমূল প্রার্থী ঘুরলেন একের পর এক মন্দিরে। স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার।