শিলিগুড়ি: ভোট চলাকালীন শীতলকুচিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে জোড় পাটকি গ্রামের চারজনের। নির্বাচন কমিশন আগামী ৭২ ঘন্টা কোচবিহারে রাজনৈতিক নেতাদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তাই এদিন শীতলকুচিতে আসার কথা থাকলেও কর্মসূচী বাতিল করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে শিলিগুড়িতে থেকে নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছেন। শোকগ্রস্ত পরিবারবর্গকে সব ধরনের সাহায্য ও পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।


সেইসঙ্গে নির্বাচন কমিশনকেও ফের নিশানা করেছেন তৃণমূল নেত্রী। তাঁর অভিযোগ, শীতলকুচিতে গণহত্যা চালানো হয়েছে। বুক লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে বাহিনী।  ওই ঘটনার তথ্য চাপা দিতেই কোচবিহারে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা কমিশন জারি করেছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।


মমতা বলেছেন, কমিশন যা করছে, তা নজিরবিহীন। শীতলকুচিতে নিহত ও আহতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্যের কথাও জানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি বলেছেন,  ‘শীতলকুচিতে গণহত্যার ঘটনা ঘটেছে।অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ও ভয়ঙ্কর ঘটনা, তথ্য চাপা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। তথ্য লুকোতে ৭২ ঘণ্টা নিষেধাজ্ঞা কমিশনের।নির্বাচন কমিশনকে শ্রদ্ধা করি।অপদার্থ প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, ক্নিনচিট দেওয়া হয়েছে বাহিনীকে।নজিরবিহীন ঘটনা, আমাকে আটকাতেই এই আইন।‘


উল্লেখ্য, গতকালই শীতলকুচির ঘটনায় কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ইস্তফাও দাবি করেন। সেইসঙ্গে শীতলকুচিতে নিহতদের পরিজনদের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার কথাও জানিয়েছিলেন। 


কিন্তু এর কয়েকঘণ্টা পরই নির্বাচন কমিশন নির্দেশিকা জারি করে,আগামী ৭২ ঘণ্টা, কোচবিহার জেলার ভৌগলিক সীমানার মধ্যে কোনও জাতীয় বা আঞ্চলিক কিংবা অন্য কোনও দলের নেতা-নেত্রীকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। নির্দেশ কার্যকর করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে মুখ্যসচিব, ডিজি, জেলার পুলিশ সুপার এবং জেলাশাসককে। আগামী ৭২ ঘণ্টা কোচবিহারের প্রতি মূহূর্তের পরিস্থিতি সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনকে জানাবেন, বিশেষ পর্যবেক্ষক, বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক এবং রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক।


এদিকে, শীতলকুচির ঘটনা প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেছেন,  ভোট পরিচালনায় কমিশন সম্পূর্ণ ব্যর্থ। শীতলকুচির ঘটনায় সেটাই প্রমাণিত। শীতলকুচিকাণ্ডে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি তুললেন সিপিএম নেত্রী বৃন্দা কারাত।