হুগলি: বঙ্গ বিধানসভায় এখন সাদা ধুতি-পাঞ্জাবি পরা রাজনীতিবিদ হাতে গোনা। তাঁদেরই একজন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান। প্রাক্তন অঙ্কের শিক্ষক এবারও ভোটের ময়দানে।
মাথার ওপর কাঠফাটা রোদ্দুর। বুকে পেসমেকার। তা সত্বেও হুগলির চাঁপদানির বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতার প্রচার চলছে জোরকদমে। গত ১৯ মার্চ মনোনয়ন জমা দিয়েছেন ৬৮ বছরের আব্দুল মান্নান। হলফনামা অনুযায়ী, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে তাঁর আয় ছিল ৩ লক্ষ ৫৫ হাজার ৮৯০ টাকা। অর্থাৎ ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের তুলনায় আব্দুল মান্নানের আয় কমেছে ৪৮ হাজার ৮১৭ টাকা।
মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় চাঁপদানির কংগ্রেস প্রার্থীর হাতে নগদ ছিল ৩৭ হাজার টাকা।
আব্দুল মান্নানের ৬টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মোট জমা আছে, ১১ লক্ষ ৬০ হাজার ৬০১ টাকা।
একটি গাড়ি আছে আব্দুল মান্নানের নামে। যার বাজারমূল্য ২ লক্ষ ৭৭ হাজার ৬৯২ টাকা।
সবমিলিয়ে তাঁর অস্থাবর সম্পত্তির মূল্য ১৪ লক্ষ ৩৮ হাজার ২৯৩ টাকা।
হলফনামা অনুযায়ী, আব্দুল মান্নানের কোনও সোনার গয়না নেই।
স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া জমি আছে। যার বর্তমান বাজার মূল্য ১৪ লক্ষ ৯৭ হাজার ৪৯৯ টাকা।
সবমিলিয়ে হুগলির উত্তরপাড়ার ভদ্রকালী উচ্চ বিদ্যালয়ের অঙ্কের প্রাক্তন শিক্ষকের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ২৯ লক্ষ ৩৫ হাজার ৭৯২ টাকা।
পেনশন এবং বিধায়ক ভাতা থেকেই তাঁর আয়। সাদা-মাটা জীবনযাত্রা। কোনও ফৌজদারী মামলাও নেই চাঁপদানির কংগ্রেস প্রার্থী আব্দুল মান্নানের বিরুদ্ধে।
এদিকে প্রথম তিন দফার ভোটের আগে কংগ্রেস প্রার্থীদের কেন্দ্রে প্রচারে গিয়েছেন বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র, এমনকি, মানিক সরকারের মতো সিপিএম নেতারাও। কিন্তু সিপিএম যেখানে লড়ছে, সেখানে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি-সহ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বকে প্রচারে দেখা যাচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত সেই ‘দূরত্ব’ মুছে সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে একসঙ্গে প্রচারে নামছেন কংগ্রেস নেতারা।
রাজ্য সিপিএমের শীর্ষ নেতারা কয়েক দিন আগে তাদের ক্ষোভের কথা জানিয়েও দিয়েছিলেন কংগ্রেসকে। তাঁদের বক্তব্য, আব্দুল মান্নান, অমিতাভ চক্রবর্তী, শুভঙ্কর সরকার বা দেবপ্রসাদ রায়ের মতো কংগ্রেস নেতারা প্রার্থী হিসেবে যে যার নিজেদের কেন্দ্রে ব্যস্ত। এই পরিস্থিতিতে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকেই তো প্রচারে বাড়তি ভূমিকা নিতে হবে।