মালদা: মার খেলে পাল্টা মার দেওয়ায় হুঁশিয়ারি দিয়ে বিতর্কে সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সভানেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। বেকার সমস্যা, বেহাল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি! সহ নানা অভিযোগে ১১ ফেব্রুয়ারি নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে সিপিএমের যুব সংগঠন DYFI। মালদার ইংরেজবাজারে সেই অভিযানের প্রস্তুতি সভার মঞ্চ থেকে হুঁশিয়ারি দিলেন সিপিএমের যুব সংগঠনের সভানেত্রী। পুলিশ-প্রশাসনের উদ্দেশে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, বামেরা মার খেতেও পারে, আবার মার দিতেও পারে। কেউ যদি ইট ছোড়ে, ১১ ফেব্রুয়ারি দেখাবে, আর মার খাওয়ার দিন নয়, মার দিলে পাল্টা মার খাবে। পুলিশ যদি পুলিশের ভূমিকা গ্রহণ করে তাহলে সাধুবাদ, তৃণমূলের এজেন্ট হিসাবে কাজ করলে জবাব পাবে।
পাল্টা সিপিএমকে আক্রমণে একজোট হয়েছে তৃণমূল-বিজেপি। মালদা তৃণমূল কংগ্রেসের কোঅর্ডিনেটর দুলাল সরকার কটাক্ষ করেছেন, বর্তমানে সিপিএম সর্বহারা দল। তাদের কোন অস্তিত্ব নাই। যাদের কেউ নেই, তারা এ ধরনের কাজ করে। কারণ বাংলার মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। অবান্তর কথা বলে বলে প্রচারে আসছে। এদের কোনও গুরুত্ব নেই। আর জেলা বিজেপির সহ সভাপতি অজয় গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, মীনাক্ষী মুখার্জি অনেক কথাই বলেছেন। তাকে বাংলার মানুষ কেউ চেনেন না। অনেক কথা বলার পরে তাদের হয়তো ধারণা হয়েছে যে তারা মনে হয় সরকারে আসছে। পরিষ্কার বলে দিতে চাই, বাংলার মানুষ বিজেপিকে ক্ষমতায় নিয়ে আসবে।
বিধানসভা ভোটে তৃণমূল-বিজেপির লড়াইয়ের মধ্যে কি দাগ কাটতে পারবে বাম-কংগ্রেস? নির্ণায়ক হয়ে উঠতে পারে তারা? ঘটনাচক্রে আজই বাম-কংগ্রেস আসন বোঝাপড়ার পথে এক পা এগিয়ে ঠিক করেছে, ১৯৩টি আসনে তারা যৌথ ভাবে লড়বে। বামেরা প্রার্থী দেবে ১০১টিতে, কংগ্রেস ৯২টি আসনে। বাকি ১০১টি আসন রফা নিয়ে আগামীদিনে দুদলের আরও আলোচনা হবে। বামফ্রন্ট চেয়ারম্য়ান বিমান বসু বলেছেন, বিজেপিকে হারাতেই হবে। শেষ পর্যন্ত বাম-কংগ্রেস জোট বিধানসভা ভোটে কতটা দাগ কাটবে, তা সময়ই বলবে। যদিও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বক্তব্য়, দুটি দলই তৃণমূল জমানায় লাগাতার শক্তি হারাতে হারাতে এমন জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে যে, সময়ের প্রয়োজনে অস্তিত্ব রক্ষার তাগিদেই পরস্পরের হাত ধরতে বাধ্য হয়েছে তারা।