পুরুলিয়া: পুরুলিয়ার বান্দোয়ানে ভোটকর্মীদের গাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নতুন তথ্য। পুলিশের দাবি, চালকের বক্তব্যে অসঙ্গতি মিলেছে। জিজ্ঞাসাবাদে চালক জানান, গাড়ি থেকে নেমে ধূমপান করার সময় আগুন লাগে। চালকের অসাবধানতাবশত ভোটকর্মীদের গাড়িতে আগুন লাগে বলে পুলিশের দাবি। গতকাল চালক জানান, তাঁকে নামিয়ে গাড়ি লক্ষ্য করে রাসায়নিক ছোড়া হয়। এরপরই আগুন লেগে যায়। গোটা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন পুরুলিয়ার জেলাশাসক। ঘটনায় ফরেন্সিক তদন্ত হবে বলেও জানানো হয়েছে।
এর আগে একেবারে মাওবাদী-কায়দায় পুরুলিয়ার বান্দোয়ানে ভোটকর্মীদের গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটের আগে শুক্রবার সন্ধে সাড়ে ৭টা নাগাদ পুরুলিয়ার বান্দোয়ানের তুলসিডি গ্রামের এই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, ভোটকর্মীদের বুথে নামিয়ে দিয়ে ফিরছিল একটি গাড়ি। চালক ও প্রত্যক্ষদর্শীরা দাবি করেছিলেন, বুথ থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে রাস্তার পাশের জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এসে হাত দেখিয়ে গাড়িটি থামায় মুখ ঢাকা দুই যুবক। গাড়ি থামতেই রাসায়নিক ছুড়ে তাতে আগুন লাগিয়ে জঙ্গলেই গা ঢাকা দেয়। কোনওমতো গাড়ি থেকে নেমে প্রাণ বাঁচান চালক। খবর পেয়ে ছুটে আসেন চালকের ভাই। ছুটে আসেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। খবর পেয়ে আসে দমকলও। কিন্তু ততক্ষণে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে গাড়িটি।
পুলিশ সূত্রে জানানো হয়, এই ঘটনার সঙ্গে মাওবাদী-যোগ আছে কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ফরেন্সিক পরীক্ষা করা হবে গাড়িটির। তল্লাশিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
উল্লেখ্য, আজ প্রথম দফায় রাজ্যের পাঁচ জেলার তিরিশটা আসনে ভোটগ্রহণ। এর মধ্যে তেইশটা আসনই জঙ্গলমহলের চার জেলায়, সাতটা আসন পূর্ব মেদিনীপুরে। এই তিরিশটা আসনের মধ্যে পুরুলিয়ার ৯টা, পশ্চিম মেদিনীপুরের ৬টা, বাঁকুড়ার ৪টে, পূর্ব মেদিনীপুরের ৭টা এবং ঝাড়গ্রামের ৪টে আসন ।৫ জেলার মধ্যে পুরুলিয়াতেই সব থেকে বেশি- ১৮৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।