WB Election Rallies 2021 LIVE: বিজেপির সবকিছুই জুমলা, ইস্তেহার প্রকাশের পর আক্রমণ সৌগত রায়ের
West Bengal Assembly Election 2021 LIVE Updates: অমিত শাহও এদিন পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় জনসভা করবেন। অমিত শাহের সভায় আমন্ত্রণ জানাতে গতকাল শিশির অধিকারীর বাড়িতে যান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য। দু’জনের প্রায় আধঘণ্টা বৈঠক হয়। সভায় যেতে সম্মত হয়েছেন শিশিরও। তাহলে কি আজই পদ্মে-প্রবেশ সিনিয়র অধিকারীর? জল্পনা তুঙ্গে।
পুরুলিয়া বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ। প্রচারের শেষপর্বে এসে বিজেপি প্রার্থী সুদীপ মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তৃণমূলের স্লোগান কাল্টু এখন পাল্টু। প্রচারে বিজেপি প্রার্থীর দলবদলের ইতিহাসকেই কটাক্ষ শাসক শিবিরের। ভোটের ফল বের হলে উল্টে যাবে তৃণমূল সরকার, পাল্টা জোড়াফুলের দলকে নিশানা গেরুয়া শিবিরের প্রার্থীর।
বিজেপির সবকিছুই জুমলা। ইস্তেহার প্রকাশের পর আক্রমণ সৌগত রায়ের।
নির্বাচন কমিশনে গিয়ে মমতার নামে নালিশ বিজেপির। প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণের ভাষা কদর্য। কমিশন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সতর্ক করুক। কমিশনে গিয়ে আবেদন বিজেপির। অতিরিক্ত সিইও সঞ্জয় বসুকে অপসারণের দাবি বিজেপির। ২০১৯ থেকে পক্ষপাতমূলক কাজ করছেন সঞ্জয়। কমিশনে অভিযোগ বিজেপির প্রতিনিধিদলের। প্রথম দু’দফায় অন্তত ৫০ শতাংশ বুথ স্পর্শকাতর। এইসব বুথের তালিকা জমা দেওয়া হয়েছে কমিশনে। জানাল বিজেপির প্রতিনিধিদল
দিদি এখন থেকেই ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করে দিয়েছেন। হারের ভয়ে এখন থেকেই ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। গত ১০ বছর এই ইভিএমই আপনাকে ক্ষমতায় রেখেছিল। কটাক্ষ নরেন্দ্র মোদির।
সারা দেশে কৃষকরা কিষাণ সম্মান যোজনায় টাকা পেয়েছেন। ডবল ইঞ্জিন সরকার ক্ষমতায় এলেই বাংলার কৃষকরা টাকা পাবেন।
বিজেপি স্কিমের উপর চলে, তৃণমূল স্ক্যামের উপর চলে। তৃণমূলের মন্ত্র হল যেখানে স্কিম, সেখানেই স্ক্যাম। আক্রমণ প্রধানমন্ত্রীর। আয়ুষ্মান ভারত, কিষাণ সম্মান যোজনায় স্ক্যাম করতে পারবে না বলে চালু করতে দেয়নি বলে অভিযোগ মোদির।
বাঁকুড়ায় প্রকৃতি ও হেরিটেজ ট্যুরিজম গড়ে তোলা হবে। ডাবল ইঞ্জিন সরকার টেরাকোটাকে বিশ্ববাজারে নিয়ে যাবে।
ডাবল ইঞ্জিন সরকার নতুন শিক্ষানীতি প্রণয়ন করবে। দ্রুতগতির ইন্টারনেট কানেকশন দেবে। জলজীবন মিশন দ্রুত চালু করা হবে। আয়ুষ্মান ভারত যোজনা বাংলায় চালু হবে। গ্রামে গ্রামে আধুনিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরি হবে। বললেন মোদি।
আপনাদের জন্য পরবর্তী ২৫ বছর খুব গুরুত্বপূর্ণ। স্বাধীনতার শতবর্ষে সোনার বাংলা তৈরি হবে। বললেন মোদি।
নতুন প্রজন্মের হাত ধরে সোনার বাংলা তৈরি করব, ডবল ইঞ্জিন সরকার বানাব। বাম-কংগ্রেস-তৃণমূল ৩-৪ প্রজন্ম শেষ করে দিয়েছে। কিন্তু আজকের যুব সম্প্রদায়ের ভবিষ্যৎ আমি শেষ হতে দেব না। বাঁকুড়ায় বললেন নরেন্দ্র মোদি।
আমি প্রশ্ন করলেই দিদির রাগ হয়। আমার চেহারাও দিদি পছন্দ করেন না। গণতন্ত্রে চেহারা নয়, কাজ জরুরি।
১০ বছর ধরে মানুষ আপনার খেলা দেখেছে। গরিব মানুষের কাছে সরকারি টাকা পৌঁছয়নি। কিন্তু তৃণমূলের নেতারা মালামাল হয়ে গেছেন। দিদি এবার যাচ্ছেন।
১০ বছর ধরে বাংলার মানুষের সঙ্গে খেলেও আপনার মন ভরেনি! এবার বাংলার মানুষ ঠিক করে নিয়েছেন। আপনার খেলা শেষ হবে, উন্নয়ন শুরু হবে।
বাংলার সরকারকে জলপ্রকল্পের জন্য কোটি কোটি টাকা দিয়েছি। কিন্তু মানুষ প্রশ্ন করছেন, জল কোথায় দিদি? কেন কৃষকরা ক্ষেতে জল পান না? কোথায় শিল্প, কোথায় কর্মসংস্থান দিদি? সেই জন্যই আপনি বলছেন খেলা হবে! মমতাকে আক্রমণ মোদির।
দিদি চাইলে আপনার পা আমার মাথায় রাখতেই পারেন। কিন্তু বাংলার উন্নয়নকে লাথি মারতে আমি দেব না। গরিব মানুষের পেটে লাঠি মারতে দেব না।
তৃণমূল কর্মীরা ছবি আঁকছেন আমার মাথায় লাঠি মারছেন দিদি। এটাই কি বাংলার সংস্কৃতি? দিদি চাইলে আপনার পা আমার মাথায় রাখতেই পারেন।
আপনার আসল রূপ দশ বছর আগে দেখালে বাংলায় ক্ষমতায় আসতেন না। বাঁকুড়ায় বললেন মোদি।
দিদি এতদিন তোষণের রাজনীতি করে এসেছেন, অভিযোগ মোদির।
ও দিদি দুর্নীতির খেলা আর চলবে না। দিদি সিন্ডিকেট, কাটমানির খেলা শেষ হবে। বিজেপি ক্ষমতায় এলে মায়ের পুজো হবে, মানুষের সম্মান হবে।
আসল পরিবর্তন আসছে। আসল পরিবর্তন বাংলার গৌরব ফিরিয়ে আনার জন্য। আসল পরিবর্তন গরিব মানুষের দুর্দশা দূর করার জন্য। আসল পরিবর্তন গরিবের কাছে সরকারের টাকা পৌঁছনোর জন্য.
আসল পরিবর্তন তোলাবাজ, দুর্নীতিগ্রস্তদের জেলে ভরার জন্য। আসল পরিবর্তন বিজেপিকে ক্ষমতায় আনার জন্য। বাঁকুড়ায় বললেন মোদি।
লোকসভা ভোটের সময় বাঁকুড়ায় দিদি কী করেছিলেন মনে আছে। এখানকার মানুষদের ভয় দেখাতে সব করেছিলেন দিদি। দিদির হুমকি উপেক্ষা করেই বিজেপিকে ভোট দিয়েছিল বাঁকুড়ার মানুষ। বাংলার মানুষ ঠিক করে নিয়েছে, ২ মে দিদি যাচ্ছেন।
যত দূর দেখছি ততদূর লোক দেখছি। বাঁকুড়ায় বললেন মোদি।
রাজ্যে ফের ভোটের প্রচারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বাঁকুড়ার তিলাবেদিয়া ময়দানের সভায় পৌঁছলেন মোদি।
নন্দকুমারের জনসভায় মমতা বলেছেন, আগামী দিনে দেওয়া হবে সস্তায় বিদ্যুৎ। বললেন, জানি, শিক্ষক নিয়োগে গদ্দাররা টাকা খেয়েছে।
অভিষেক বলেছেন, ‘মমতা তো সোনার বাংলা করে দেখিয়েছেন। মোদি বলেছিলেন দিদির স্কুটার নন্দীগ্রামে পড়ে যাবে। বাংলাকে বকেয়ার টাকা দেওয়া হচ্ছে না, কেন এত রাগ।
প্রধানমন্ত্রীর গালিগালাজ আমার কাছে আশীর্বাদের মতো। কিন্তু বাংলাকে কেন বঞ্চিত করা হচ্ছে?’
কাঁথি উত্তরের সভায় মমতা বলেছেন, ‘এবার দেখব কাঁথিতে আসতে গেলে কার অনুমতি চাই! ‘ওদের সম্মান করতাম, ভালবাসতাম। আমি বোকার মতো ওদের বিশ্বাস করেছি, তাই ঠকেছি। আজ বিশ্বাসঘাতকদের মুখোশ খুলে গেছে। বেতন, পেনশন নিই না, ছবি আঁকি, বই ও গান লিখি।’
ময়নার সভা থেকে অভিষেক বলেছেন, ‘এবার আর ধমকে, চমকে ভোট হবে না। যারা ভাবছে সন্ত্রাস করব, ধমকে ভোট নেব, তাদের উদ্দেশ্য সফল হবে না। আমি লড়াইয়ের ময়দান ছেড়ে পালাব না। ১ এপ্রিল কোনও কর্মসূচি রাখিনি। কপ্টারে কলকাতা থেকে আসতে বেশি সময় লাগবে না। খুন্তি, ঝাঁটা, লাঠি নিয়ে গণতান্ত্রিকভাবে জবাব দিন।’
মমতা বলেছেন, ‘দ্বিগুণ শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। আরও চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ হবে।
দিল্লির সরকার দৈত্য, দানব, রাবন, স্বৈরাচারী সরকার।
মমতা বলেছেন, কৃষকদের খাজনা দিতে হয় না। মকুব করে দিয়েছি। শষ্য বিমার টাকাও সরকার দেয়। ফসল সহায়ক মূল্যে কেনে সরকার।
ময়নার জনসভায় বক্তব্য রাখছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
নাম না করে অধিকারী পরিবারকে তোপ মমতার। বলেছেন, আমরা কাজ করেছি, আর নাম নিয়েছে গদ্দাররা। কাঁথিকে আগে মিটিং করতে দেওয়া হত না। এখানে আগে একজনের জমিদারি ছিল। পছন্দ না হলে হারিয়ে দেওয়া হত। গদ্দারদের মাঠের বাইরে পাঠাতে হবে। বিজেপিকে হাত ধরে এনেছে গদ্দাররা।
কাঁথি উত্তরের জনসভায় পৌঁছলেন মমতা।
ডোমজুড়ের বাঁকড়ায় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচার চলাকালীন তৃণমূলের বাধা, কালো পতাকা। পরিস্থিতি সামলাতে লাঠিচার্জ পুলিশ ও সিআরপিএফের।
তৃণমূল নেত্রী বলেছেন, 'ওরা ভাবছে মমতার পায়ে আঘাত লাগিয়ে বেরোতে পারবে না। তোমরা আমার সারা শরীরে মেরেছ, পা-টাই বাকি ছিল। আমি এক পা নিয়েই বোল্ড আউট করে দিতে পারি। গদ্দার, ডাকাত, কুলাঙ্গারদের মীরজাফরদের ভোট দেবেন না'।
তৃণমূলের নির্বাচনী ইস্তেহারে প্রতিশ্রুতির উল্লেখ করে মমতা বলেছেন, ‘ঘরে ঘরে রেশন, স্বাস্থ্যসাথী চাইলে তৃণমূলকে ভোট দিন। ‘মা বোনেরা, এবার খেলা হবে তো?
গুন্ডারা এলে হাতা-খুন্তি নিয়ে তেড়ে যাবেন তো?
নাম না করে শুভেন্দু সহ দলত্যাগীদের নিশানা করে তৃণমূল নেত্রী বলেছেন, ‘আমি আসলে গদ্দারদের বুঝতে পারিনি। গদ্দাররা এখন হাজার-হাজার কোটি টাকার মালিক। টাকা নিয়ে ওদের ভোট দেবেন না।
মমতা বলেছেন, ‘ভোট এলে অনেককে ৫০০, ১০০০ টাকা দেবে গদ্দাররা’
বিজেপি যখন কাটমানি-দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করছে, তখন তিনিও পাল্টা বিজেপির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন। তৃণমূল নেত্রী বলেছেন, ‘পিএম কেয়ার, নোটবন্দির টাকা কোথায় গেল জবাব দাও।’
কেন্দ্রের রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নীকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘কোল, এয়ার ইন্ডিয়া বিক্রি হচ্ছে কেন বিজেপি জবাব দাও।রেল, জীবন বিমা বিক্রি হচ্ছে কেন বিজেপি জবাব দাও।’
জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রকে নিশানা করে তাঁর প্রশ্ন, ‘কেন ৮৫০ টাকা দিয়ে গ্যাস কিনতে হবে? কেন্দ্রকে বিনা পয়সায় মানুষকে গ্যাস দিতে হবে।’
মমতা বলেছেন, ‘সিপিএম জগাই, কংগ্রেস মাধাই, বিজেপি গদাই।’
দক্ষিণ কাঁথির সভা থেকে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বললেন, ‘বাইরের গুন্ডাদের এলাকায় ঢুকতে দেবেন না। বিজেপি যেন ইভিএম লুঠ করতে না পারে। ভিভি প্যাট যন্ত্র ভাল করে দেখে নেবেন। দলীয় কর্মীদের ইভিএম পাহারা দিতে হবে। ভোট মেশিনের দখল আটকাতে হবে। গদ্দারদের বোল্ড আউট করতে হবে। এমনভাবে ব্যাটিং করুন, বিজেপি আউট হবে।’
অমিত বলেছেন, ‘ বিজেপি ক্ষমতায় এলে সপ্তম বেতন কমিশন তৈরি হবে। ২ মে তৃণমূল সরকার যাবেই।
বিজেপি কর্মীদের যারা মেরেছে পাতাল থেকে বের করব। খুনিদের পাতাল থেকে বের করে জেলে ঢোকাব।‘এবার তৃণমূলের গুন্ডারা শিক্ষা পাবে।’
অমিত বলেছেন, ‘বাংলাভাষী শিক্ষককে পুলিশ গুলি করেছে।মমতার কাছে ভাইপোর কাটমানি আসে।
তাই আপনার কাছে ছোট হলেও মানুষের কাছে ৫০০ টাকা অনেক বড়। পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট লুঠ করেছিল তৃণমূল। সবাই ভোট দিতে পারে, এমন ব্যবস্থা চাই। মমতা চান ভাইপোকে মুখ্যমন্ত্রী করতে, মোদি চান সোনার বাংলা। বিজেপি জিতলে কাটমানি দিতে হবে না’
অমিত শাহ বলেছেন, যে সরকার দুর্গা ও সরস্বতী পুজো করতে দেয় না, সেই সরকারের ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই।
অমিত শাহ বলেছেন, ‘আগেও অনুপ্রবেশ হত, এখনও হচ্ছে। মমতা অনুপ্রবেশ থেকে রাজ্যকে মুক্ত করতে পারবেন না?’
অমিত শাহ বলেছেন, ‘মেদিনীপুর স্বাধীনতা সংগ্রামের মাটি। দিদি বলেছিলেন পরিবর্তন করব। কিন্তু পরিবর্তন হয়নি। আপনারাই বলুন পরিবর্তন হয়েছে?’
এগরার সভা থেকে তৃণমূলকে উৎখাতের ডাক অমিত শাহর।
এগরায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সভার মঞ্চে পৌঁছলেন শিশির অধিকারী।
রবিবাসরীয় প্রচারে বেরিয়ে ঢাক বাজালেন চুঁচুড়ার তৃণমূল প্রার্থী অসিত মজুমদার।এদিন তালডাঙা রাজরাজেশ্বরী মন্দিরে গিয়ে ঢাক বাজাতে দেখা যায় ২ বারের বিধায়ককে।
কলকাতা পুরসভার ১২৫ নম্বর ওয়ার্ডে ভোট প্রচারে বেহালা পশ্চিম কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী নীহার ভক্ত। এদিন ঠাকুরপুকুর বাজারের কাছ থেকে শুরু হয় মিছিল। বাম প্রার্থীর সমর্থনে প্রচার করেন টলিউডের দুই অভিনেতা রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায় ও জ্যাক। অভিনেতা রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, সেলিব্রিটি দিয়ে রাজনীতি হয় না। বরং যাঁরা রাজনীতি করে সেলিব্রিটি হন, এবার প্রার্থী নির্বাচনে তাতেই জোর দিয়েছে সংযুক্ত মোর্চা।
কঙ্কালীতলায় পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করলেন বোলপুরের বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়। বাংলাকে রাহুমুক্ত করার প্রার্থনা জানিয়েছি, দাবি বিজেপি প্রার্থীর।
হুগলির চণ্ডীতলায় ছোট দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করলেন বিজেপি প্রার্থী অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত। রাজনীতিতে যোগ দিয়ে প্রথমবারই বিধানসভা ভোটে টিকিট পেয়েছে টলিউড অভিনেতা। তাঁর প্রতিপক্ষ সিপিএমের মহম্মদ সেলিম ও তৃণমূলের স্বাতী খোন্দকার।
ব্যারাকপুর পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচার করলেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী রাজ চক্রবর্তী। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাইলেন ব্যারাকপুর কেন্দ্রের প্রার্থী। এবারই প্রথম ভোটে লড়ছেন টলিউডের পরিচালক।
কংগ্রেস প্রার্থীর হয়ে প্রচার করলেন অধীর চৌধুরী। রবিবার খড়গপুর সদর কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী রীতা শর্মার সমর্থনে প্রচার করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।
পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন কেন্দ্রের বাম প্রার্থীর সমর্থনে প্রচার করলেন সূর্যকান্ত মিশ্র। সিপিআই প্রার্থী শিশিরকুমার পাত্রর হয়ে এদিন তুরকায় জনসভা করেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক।
রবিবার সকালে প্রচারে নামলেন সোনারপুর দক্ষিণের বিজেপি প্রার্থী অঞ্জনা বসু। এদিন সোনারপুরের ভৌমিক পার্ক এলাকায় বাড়ি বাড়ি ঘুরে প্রচার করেন তারকা প্রার্থী। বাজারে গিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছে ভোট দেওয়ার আবেদন জানান। টলিপাড়া থেকে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখানোর পর, এবার প্রথম ভোটে লড়ছেন অভিনেত্রী অঞ্জনা বসু।
ডানকুনি বাজারে প্রচার করলেন হুগলির চণ্ডীতলার সিপিএম প্রার্থী মহম্মদ সেলিম। বেলুন, পতাকা, ফেস্টুনে মোড়া বর্ণময় শোভাযাত্রায় সঙ্গী হলেন বাম ও কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা। কারোর সঙ্গে মেলালেন হাত, আবেগে কাউকে জড়িয়েও ধরলেন বাম প্রার্থী।
রবিবার সকালে খিদিরপুরে প্রচারে গিয়ে পথসভা করলেন বিদায়ী বিধায়ক ও কলকাতা বন্দরের তৃণমূল প্রার্থী ফিরহাদ হাকিম।
বেহালার ঘোলসাপুর বাজার এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করলেন বেহালা পশ্চিমের বিজেপি প্রার্থী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। দলে যোগ দিয়ে এবারই প্রথম ভোটে দাঁড়িয়েছেন টলিউড তারকা। তাঁর লড়াই তৃণমূলের হেভিওয়েট প্রার্থী তথা বিদায়ী বিধায়ক ও মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে।
রাজারহাট-গোপালপুর কেন্দ্রে এবার বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন শমীক ভট্টাচার্য। তাঁর সমর্থনে রবিবাসরীয় সকালে বর্ণাঢ্য ভোট প্রচার বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের।
কেষ্টপুরের লোকনাথ মন্দিরে পুজো দিয়ে কেষ্টপুর ভিআইপি বাজার থেকে কেষ্টপুর মিশন বাজার পর্যন্ত শোভাযাত্রা সহকারে চলল প্রচার। ঢাকের তালে প্রচারের ফাঁকে পথচলতি মানুষ, অটো-বাস-রিকশ যাত্রীদের কাছে ভোট দেওয়ার আবেদন জানালেন বিজেপি প্রার্থী।
বাবা ছিলেন বাম আমলের দাপুটে মন্ত্রী। নিজেও ছাত্র জীবন থেকে রাজনীতি করছেন সপ্তর্ষি দেব। এবার রাজারহাট-নিউটাউন কেন্দ্রে তাঁকে প্রার্থী করেছে সিপিএম। রবিবার পাথরঘাটা এলাকায় চায়ের দোকান থেকে শুরু করে বিভিন্ন দোকান-বাজারে ঘুরে প্রচার করলেন বামেদের তরুণ প্রার্থী।
ফের রায়দিঘিতে কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন কাশীনগর এলাকায় কখনও হেঁটে, কখনও দলীয় কর্মীর বাইকে চড়ে প্রচার করলেন রায়দিঘি কেন্দ্রের ২ বারের বিধায়ক। ২০১১-য় রাজ্যে পালাবদলের বছরে প্রথমবার ভোটে হার। এবারও কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়কেই প্রার্থী করেছে সিপিএম। হাতের তালুর মতো চেনা এলাকা।সেখানে গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে গল্পের ফাঁকে সেরে নিলেন পথসভাও।
তৃণমূলের হুগলি জেলা সভাপতি দিলীপ যাদবই এবার পুড়শুড়া কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছেন। রবিবার সকাল থেকেই পুড়শুড়া ১ নম্বর অঞ্চলে প্রচারে নেমে পড়লেন তৃণমূল প্রার্থী। উঠল খেলা হবে স্লোগান।
বারাসাতে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন শঙ্কর চট্টোপাধ্যায়। ছিলেন দলের বারাসাত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি। এবারই প্রথম ভোটের ময়দানে। এদিন বারাসাতের ৫ নম্বর পান্না ঝিল এলাকায় প্রচার শুরু করলেন বিজেপি প্রার্থী। বাড়ি বাড়ি ঘুরে ভোট দেওয়ার আবেদন জানান তিনি।
রবিবার সকালে বিভিন্ন বাজারে ঘুরে প্রচার করলেন চুঁচুড়ার বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। এদিন ব্যান্ডেল বাজার, চকবাজার, রবীন্দ্রনগর বাজার-সহ একাধিক বাজারে গিয়ে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের কাছে ভোট দেওয়ার আবেদন জানান তিনি।অভিনয়ের দুনিয়া ছেড়ে রাজনীতিতে নেমে প্রথমবার হুগলি লোকসভা আসনে জয়ী হন লকেট। আজ প্রচারের ফাঁকে কর্মিসভা ও পথসভাও করবেন বিজেপি প্রার্থী।
রবিবার সকালে ভোট প্রচারে শিবপুরের তৃণমূল প্রার্থী মনোজ তিওয়ারি। ক্রিকেটের ময়দান ছেড়ে এই প্রথম পা রেখেছেন রাজনীতির আঙিনায়। এবারই প্রথম ভোটে দাঁড়িয়েছেন মনোজ। এদিন বালটিকুরি এলাকায় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে প্রচার করেন তৃণমূল প্রার্থী।
রবিবার সকালে প্রচারে নামলেন টালিগঞ্জের সিপিএম প্রার্থী দেবদূত ঘোষ। অভিনয়ের জগত থেকে এসেছেন রাজনীতিতে। প্রচারে তুলে ধরছেন সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা। এদিন খানপুর এলাকায় প্রচার করেন সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী।
মুরারইতে বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দলেরই একাংশের। আজ দলীয় কার্যালয়ের মধ্যেই বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার দিনেই আজ পূর্ব মেদিনীপুরে নির্বাচনী প্রচার করবেন শুভেন্দু অধিকারী। পটাশপুরের কর্মসূচিতে শুভেন্দুর সঙ্গে থাকবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও। এরপর নন্দীগ্রামের বৃন্দাবনচক ও জামবাড়িতে দুটি পথসভা করবেন বিজেপি প্রার্থী ও প্রাক্তন বিধায়ক।
আজ রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বাঁকুড়ায় মোদি, এগরায় অমিত শাহ। বিকেলে বিজেপির ইস্তেহার প্রকাশ। পূর্ব মেদিনীপুরে ৩ সভা মমতার। অভিষেকেরও ৩ সভা।
প্রেক্ষাপট
কলকাতা: আজ রাজ্যে ভোটের প্রচারে ফের আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বাঁকুড়ায় মোদি, এগরায় অমিত শাহ জনসভায় ভাষণ দেবেন। বিকেলে বিজেপির ইস্তেহার প্রকাশিত হবে। অন্যদিকে, পূর্ব মেদিনীপুরে ৩ সভা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। পূর্ব মেদিনীপুরে আজ তিনটি জনসভা করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
এদিন বাঁকুড়ায় তিলাবেদির মাঠে দুপুর একটায় জনসভা প্রধানমন্ত্রীর। গতকাল খড়্গপুরের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছিলেন তিনি।
বাঁকুড়ায় মোদির সভার দিনই আজ পূর্ব মেদিনীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভা। হলদিয়ার সুতাহাটা, খেজুরির বামনচকে ও পাঁশকুড়ার মেচোগ্রামে পরপর তিনটি জনসভা করবেন তিনি। পূর্ব মেদিনীপুর অধিকারী গড় হিসেবে পরিচিত। জেলায় দলীয় সংগঠনের জমি তৈরি করতে একসময় অধিকারী পরিবারের উপরেই ভরসা রেখেছিলেন তৃণমূলনেত্রী। সেই হিসেব উল্টে যায় অমিত শাহর সভায় শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে যোগদানের পর থেকে। একুশের নির্বাচনে অধিকারী পরিবারই এখন তৃণমূলনেত্রীর প্রধান প্রতিপক্ষ। আজ নির্বাচনী সভা থেকে মোদির আক্রমণের জবাব দেওয়ার পাশাপাশি, ফের অধিকারী পরিবারের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগে সরব হতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
অমিত শাহও এদিন পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় জনসভা করবেন। অমিত শাহের সভায় আমন্ত্রণ জানাতে গতকাল শিশির অধিকারীর বাড়িতে যান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য। দু’জনের প্রায় আধঘণ্টা বৈঠক হয়। সভায় যেতে সম্মত হয়েছেন শিশিরও। তাহলে কি আজই পদ্মে-প্রবেশ সিনিয়র অধিকারীর? জল্পনা তুঙ্গে।এগরায় সভার পর মেচেদায় দলের জেলা ও মণ্ডল নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন শাহ। এরপর বিকেলে প্রকাশিত হবে বিজেপির নির্বাচনী ইস্তেহার।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ময়না, পাঁশকুড়া, চণ্ডীপুরে সভা করবেন।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -