রঞ্জিত হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বিধানসভা ভোটে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় আসন থেকে তাঁরাই লড়বেন। বাম ও কংগ্রেসের উদ্দেশে এমন বার্তাই দিলেন ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আব্বাস সিদ্দিকি। এ বিষয়ে শীর্ষ নেতৃত্বের সিদ্ধান্তই মেনে নেওয়া হবে, একযোগে জানাল বাম ও কংগ্রেস। ভাঙড় তাদেরই থাকবে। পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল।


বিধানসভা ভোটে আসন বণ্টন নিয়ে বামেদের সঙ্গে বোঝা পড়া হয়ে গেছে। কিন্তু, কংগ্রেসের সঙ্গে এখনও জট কাটেনি, ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট বা আইএসএফ-এর। এই পরিস্থিতিতে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় বিধানসভা আসনটি তাঁদের চাই বলে দাবি করলেন আইএসএফ-এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, তথা ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি। রবিবার ভাঙড়ের ভোজেরহাটে দলীয় সভায় তিনি দাবি করেন, ভাঙড় তাঁকে দিতেই হবে।


প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আব্বাস সিদ্দিকি জানান, ‘‘আমি পরিষ্কার বলছি আপনারা আমাকে কোথায় আসন দেবেন কি দেবেন না আমি জানি না, আমাকে ভাঙড় দিতে হবে, আমি ভাঙড়ের মানুষের মুখে হাসি ফোটাব ৷’’


আব্বাসের এই দাবির প্রেক্ষিতে বাম ও কংগ্রেস---দু’দলের জেলা নেতৃত্ব একযোগে জানিয়েছে, শীর্ষ নেতৃত্ব আইএসএফ-এর সঙ্গে কথা বলে যে সিদ্ধান্ত নেবে, তারা তা মেনে নেবে। ভাঙড়ের সিপিআইএম নেতা তুষার ঘোষ বলেন, আব্বাসের দাবি নিয়ে আলোচনা করছি, শীর্ষ নেতৃত্ব যদি আসনটি ছেড়ে দেয়ে মেনে নেব ৷


দক্ষিণ ২৪ পরগনার কংগ্রেস সভাপতি জয়ন্ত দাস বলেন, ‘‘বর্তমান পরিস্থিতিতে বিজেপি-তৃণমূলকে হঠাতে রাজ্য নেতৃত্ব যে সিদ্ধান্ত নেবে তা মেনে নিতে রাজি আছি ৷’’


যদিও, তৃণমূল কোনও জোটকেই গুরুত্ব দিতে নারাজ। তৃণমূল নেতা ও ভাঙড়-২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি আরাবুল ইসলাম বলেন, ‘‘সিদ্দিকি ফ্য্যাক্টর নয়, গত লোকসভা ভোটেও আমরা এখানে এগিয়ে আছি, মানুষ আমাদের বিশ্বাস করে ৷’’


ভাঙড় এলাকাটি তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি বলেই পরিচিত। তবে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে জমি আন্দোলনে একসময় উত্তাল হয়েছিল ভাঙড়। ২০১৮-তে পঞ্চায়েত ভোটে পোলেরহাট ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে, জয়লাভ করেছিলেন জমিরক্ষা কমিটির সমর্থনে দাঁড়ানো ৫ নির্দল প্রার্থী।


কিন্তু ভাঙড় ১ ও ২ পঞ্চায়েত সমিতি এলাকায় বাদ বাকি আসনগুলিতে একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল তৃণমূলের। এই অবস্থায় আসন্ন বিধানসভা ভোটে ভাঙড়ে আদৌ কি দাগ কাটতে পারবে বিরোধিরা? নাকি শেষ হাসি হাসবে তৃণমূলই? উত্তর মিলবে ভোটের ফলে।