কলকাতা:  শীতলকুচিতে ৫ জনের মৃত্যুর পর কোচবিহারে ৭২ ঘণ্টা রাজনৈতিক নেতাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করায় নির্বাচন কমিশনকে আক্রমণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তৃণমূল নেত্রীর ট্যুইট, নির্বাচন কমিশনের মডেল কোড অফ কনডাক্ট আসলে মোদি কোড অফ কনডাক্ট! বিজেপি সর্বশক্তি প্রয়োগ করেও আমার মানুষের পাশে থাকা ও তাদের বেদনা ভাগ করে নিতে চাওয়া আটকাতে পারবে মডেল কোড অফ কনডাক্ট আসলে মোদি কোড অফ কনডাক্ট! কমিশনকে আক্রমণ মমতার।



 কোচবিহারে ঢুকতে কমিশনের নিষেধাজ্ঞার পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে যাচ্ছেন না তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল শীতলকুচিতে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূলনেত্রী। রাতে রাজনৈতিক নেতৃত্বকে কোচবিহারে ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে নির্বাচন কমিশন। মাথাভাঙা হাসপাতালের পাশে অস্থায়ী হেলিপ্যাড তৈরি করা হচ্ছিল। সেই কাজ স্থগিত রাখা হয়েছে।


এদিন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তৃণমূল নেত্রীর কথা।


 উল্লেখ্য, চতুর্থ দফার ভোটে রক্তের স্রোত বয়েছে কোচবিহারের শীতলকুচিতে! কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি আর দুষ্কৃতীদের বুলেটে প্রাণ গেছে ৫ জনের। এই পরিস্থিতিতে রবিবার শীতলকুচিতে যাবেন বলে ঘোষণা করেন তৃণমূল নেত্রী। কিন্তু এর কয়েকঘণ্টা পরই নির্বাচন কমিশন নির্দেশিকা জারি করে,আগামী ৭২ ঘণ্টা, কোচবিহার জেলার ভৌগলিক সীমানার মধ্যে কোনও জাতীয় বা আঞ্চলিক কিংবা অন্য কোনও দলের নেতা-নেত্রীকে ঢুকতে দেওয়া হবে না।


নির্দেশ কার্যকর করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে মুখ্যসচিব, ডিজি, জেলার পুলিশ সুপার এবং জেলাশাসককে আগামী ৭২ ঘণ্টা কোচবিহারের প্রতি মূহূর্তের পরিস্থিতি সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনকে জানাবেন, বিশেষ পর্যবেক্ষক, বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক এবং রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক।


কমিশনের এই নির্দেশের সমালোচনা করে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, মমতাকে আটকাতেই এই সিদ্ধান্ত। নির্বাচন কমিশন দোষী সিআরপিফের লোকেদের চিহ্নিত করতে পারলেন না। ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দিতে পারলেন না। আর মুখ্যমন্ত্রীর যাওয়া আটকে দিলেন। এর তীব্র নিন্দা করছি। মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গ গিয়েছেন। তিনি নিজেই সিদ্ধান্ত নেবেন।


ঘটনার নিন্দা করে তৃণমূল নেতা ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিন্হার ট্যুইট,মমতার কোচবিহার সফর আটকে নিজেদের গায়েই কাদা ছেটাচ্ছে কমিশন। মমতা এখনও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। যেখানে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে, সেখানে যাওয়া তাঁর কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। এখন আমরা নিশ্চিত, নির্বাচন কমিশন স্বচ্ছ নয়।


শীতলকুচিকাণ্ডের প্রেক্ষিতে তৃণমূলকে পাল্টা আক্রমণ করেছে বিজেপিও।বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার  বলেন, কমিশনের সামনে বাংলায় শান্তিপূর্ণ ভোট করানোটাই একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে। আজকে যে ঘটনা ঘটেছে, কোনও জায়গায় এমন উসকানি দেওয়া হয় না। কোথাও এমন প্ররোচনা দেওয়া হয় না। কমিশনে যাদের আস্থা নেই, তাদের তো গণতন্ত্রেই আস্থা নেই। সৌগতবাবু মানুষ ক্ষ্যাপাচ্চেন, আধা সামরিক বাহিনীকে নিশানা করছেন।


শীতলকুচিতে ৫ জনের মৃত্যুর ঘটনায় কেন্দ্র এবং রাজ্যের শাসকদল - উভয়পক্ষককেই কাঠগড়ায় তুলেছে সিপিএম।


পাশাপাশি, কমিশনের নির্দেশিকা অনুযায়ী, পঞ্চম দফার ভোটে, প্রচার শেষ করতে হবে ৭২ ঘণ্টা আগে।