সমিত সেনগুপ্ত, অর্ণব মুখোপাধ্যায় ও দীপক ঘোষ: ভোট আসে, ভোট যায় কিন্তু ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রূপায়ণ হয় না। 


কবে পাকাপাকিভাবে জলযন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবেন দুই মেদিনীপুরের মানুষ? তার উত্তর মেলেনি। থামছে না দোষারোপের পালা। আরও একটা ভোটের মুখে সেই তরজা আরও উচ্চগ্রামে পৌঁছল।


১৯৮২ সালে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের শিলান্যাসের পর ৩৮ বছর কেটে গেলেও প্রকল্পের কাজ কার্যত থমকে রয়েছে।


যা কার্যকর হলে ঘাটাল, দাসপুর, পাঁশকুড়া, কোলাঘাট, ময়না-সহ দুই মেদিনীপুরের ১৩টি ব্লক জল যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবে।


মমতা বলেন, মোদি সরকারকে বলব বাঁদরামি না করে প্ল্যানটা কার্যকর করুক। পাল্টা কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে বিজেপি। দলের রাজ্য সহ পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য বলেন, আর কিছু দিন অপেক্ষা করুন, আমরাই করে দেব। 


তৃণমূলনেত্রীর আরও অভিযোগ, কেন্দ্র কিছুতেই করে দিচ্ছে না ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান। দরকারে মোদির অফিসে ধরনা দেব বলেও জানান তিনি। 


এই নিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, দিল্লিতে আর ধর্নায় দিতে হবে না, এবার আপনাকে নবান্নে ধর্না দিতে হবে।  


শুক্রবার দাসপুরের সভা থেকে সাংসদ দিলীপ ঘোষের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, দিলীপ ঘোষ জিতে পালিয়ে গেছে, কিছু দিয়েছে? আমরা যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, তা করেছি, তার জন্য আমাদের সব প্রার্থীকে জেতাতে হবে তাহলে সরকার হবে।


পাল্টা জবাব দিয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। বলেন, আমি কী করেছি মানুষ জানে, ওরা কী করেছে তা সবাই জানে, মানুষ এর জবাব দেব।


এদিনে প্রধানমন্ত্রীকেও আক্রমণ করতে ছাড়েননি তৃণমূল নেত্রী। বলেন, দাড়ি রাখলে রবীন্দ্রনাথ হওয়া যায় না, মুখে বলে হরি হরি মানুষের টাকা মারি, মানুষকে খুন করি, আমরা বলি সবার ভাল করি। 


ফি বছর ঘাটাল মহকুমায় নিয়ম করে বন্যা হয়। আলোচনায় উঠে আসে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কথা। ভোটের মুখেও উঠল সেই ইস্যু। তুঙ্গে চাপানউতোর।