শান্তিপুর: নদিয়ার শান্তিপুরে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘিরে শনিবার ভোট চলাকালীন সকালে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় মানুষজন। মহিলারা কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান। পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী কোনওরকমে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। পঞ্চম দফার ভোটের দিন সকাল থেকেই অশান্ত নদিয়ার শান্তিপুর (Shantipur)। তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে গ্রামের ভিতর ভোটারদের ভয় দেখিয়ে আটকে রাখার অভিযোগ ওঠে। পাশাপাশি বিজেপির পোলিং এজেন্টকে বুথে না দেওয়ার অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force)। তারপরেও অব্যাহত অশান্তি। কেন্দ্রীয় বাহিনী আশ্বস্ত করার চেষ্টা করলেও ভোটারদের অভিযোগ অন্যদিক থেকে তাঁদের উপর হামলা করা হচ্ছে। বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী গ্রামে টহল দিচ্ছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে বাহিনী ও পুলিশ।



এদিকে শান্তিপুর (Shantipur) বিধানসভার বড় গোস্বামী পাড়া এলাকার ঘটনা। বাপন বিশ্বাস নামে এক তৃণমূল কর্মী প্রতিদিনের মতো কাজ সেরে বাড়িতে ফিরছিলেন। হঠাৎই বেশ কিছু দুষ্কৃতী তাঁর উপরে চড়াও হয় এবং লোহার রড ও লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে করে বলে অভিযোগ। বেশ কিছুক্ষণ মারধরের পরে দুষ্কৃতীরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়।


এদিন হরিপুরের ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ভোট দিতে গেলে ভোটারদের বাধা দেয় কিছু দুষ্কৃতী। এলাকাবাসীর অভিযোগ, তারা তৃণমূলের (TMC) কর্মী-সমর্থক। যদি ভোটাররা বিজেপি (BJP)-কে ভোট দেন, এই সন্দেহে তাঁরা ভোটারদের পথ আটকান বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি বিজেপির এজেন্টকেও বুথে বসতে বাধা দেয় তারা। এই নিয়ে বচসা বাধে তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে।


খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এলাকার নানা প্রান্তে টহল দেন বাহিনীর জওয়ানরা। জওয়ানদের আশ্বাসে ফের বুথমুখী হন ভোটাররা। তবে টহল দেওয়ার সময় তাঁদেরকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় মহিলারা। পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী কোনওরকমে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে। হরিপুরের বুথকে স্পর্শকাতর হিসাবে ঘোষণা করে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে জওয়ানরা।