কলকাতা: বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, আক্রমণের তীব্রতা ততই বাড়াচ্ছে বিজেপি। গত ৭ ফেব্রুয়ারি হলদিয়ার রাজনৈতিক সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর তৃণমূল সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী। পাল্টা জবাব দেয় তৃণমূলও।


এই পরিস্থিতিতে চলতি মাসেই কি আরও একবার রাজ্যে আসছেন নরেন্দ্র মোদি? বিজেপি সূত্রের খবর, ২২ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় জলসম্পদ মন্ত্রকের একটি অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদির এরাজ্যে আসার কর্মসূচি রয়েছে।


ওই দিনই হুগলির ডানলপ ময়দানে রাজনৈতিক জনসভা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। সেক্ষেত্রে হলদিয়ার পর এটি হবে ভোটের আগে বাংলায় প্রধানমন্ত্রীর দ্বিতীয় জনসভা।


এর আগে ২৩ জানুয়ারি কলকাতায় নেতাজি জন্মজয়ন্তী উদযাপনে যোগ দেন তিনি। সেই সময় ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে আয়োজিত অনুষ্ঠানে  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তৃতা দিতে উঠলে দর্শকাসন থেকে জয় শ্রীরাম ধ্বনি দেওয়া হয়। এর প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তৃতা দেননি মুখ্যমন্ত্রী। এই ঘটনা ঘিরে তীব্র বিতর্ক দানা বেঁধেছিল। ৭ ফেব্রুয়ারি হলদিয়ায় উপস্থিত ছিলেন পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের অনুষ্ঠানে।


২২ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী রাজ্যে এলে, একমাসের মধ্যে ৩ বার বাংলা সফর হবে তাঁর।


ভোটের সময় এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যে অমিত শাহ, জেপি নাড্ডাদের মতো শীর্ষ বিজেপি নেতাদের যাতায়াত বাড়ছে। পরিবর্তন যাত্রা কর্মসূচি ঘিরে প্রকট হচ্ছে সেই তৎপরতা। ১৮ ফেব্রুয়ারি ফের রাজ্যে এসে কাকদ্বীপ থেকে পরিবর্তন যাত্রার শেষ রথটির সূচনা করার কথা অমিত শাহর। তার চার দিনের মাথায় ফের রাজ্যে আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।


গত ৭ ফেব্রুয়ারি  হলদিয়ার জনসভায় রাজ্যের ক্ষমতাসীন তৃণমূল সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বাংলার ফুটবল প্রীতির কথা সবারই জানা। এজন্য ফুটবলের ভাষা ব্যবহার করে বলছি, তৃণমূল একটার পর একটা ফাউল করেছে। সেজন্য বাংলার জনতা আগামী নির্বাচনে তৃণমূলকে রামকার্ড দেখাতে চলেছে।’


মোদি দাবি করেছিলেন, এবারের ভোটে রাজ্যে পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী।  বিজেপি সরকার গড়বে এবং রাজ্যে আসল পরিবর্তন ঘটবে।


নাম না করে মোদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেছিলেন।