কলকাতা: প্রেম নয়, তাঁদের বন্ধুত্বের শুরু হয়েছিল ভালোবাসার দিনে। বিয়ের পরেও তাঁরা স্বামী-স্ত্রী কম, বেস্ট ফ্রেন্ড বেশি। করোনা পরিস্থিতিতেই গাঁটছড়া বাঁধা, আর এখন এক ছাদের তলায় জমিয়ে সংসার করছেন তাঁরা। মানালি দে ও অভিমন্যু মুখোপাধ্যায়। প্রেমের সপ্তাহে কী কী পরিকল্পনা রয়েছে সদ্য বিবাহিত এই জুটির? এবিপি আনন্দের সঙ্গে প্রেমের খুঁটিনাটি ভাগ করে নিলেন মানালি।


কয়েকদিন আগেই বোলপুরের বাড়ি থেকে ফিরেছেন অভিনেত্রী। হানিমুন? মানালি বললেন, ‘হানিমুন বলতে আমরা যা বুঝি, এই ট্যুরটা ঠিক তা নয়। আমি আর অভিমন্যু পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিলাম। তার আগে দার্জিলিং গিয়েছিলাম, সেটাও সবাই মিলেই। শুধু আমার আর অভিমন্যুর এখনও কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয়নি।’ বিয়ের পর কতটা বদলালেন মানালি? ‘একটুও না। সত্যি কথা বলতে আমায় এখনও সংসারের দায়িত্ব প্রায় নিতেই হয় না। বাড়িব বড়রা আছেন ভাবনাচিন্তা করার জন্য। আমি মেয়ের মতোই থাকি। এখনও পর্যন্ত কাজ নিয়েই আছি।’ একটু থামলেন মানালি, তারপর বললেন, ‘এখন অভিমন্যু পাশে থাকে। নিজের ভালোবাসার মানুষকে সবসময় কাছে পাওয়া জীবনে একটা বড় বদল তো বটেই। আগে আমায় বড়দের দেখাশোনা একা করতে হত। এখন আমরা দুজনে মিলে করি।’


রাত পেরোলেই তো ভ্যালেন্টাইনস ডে, বিয়ের পর এই প্রথম। কোনও পরিকল্পনা রয়েছে কী? ‘আমি জীবনে কোনওদিনও এই দিনটা বিশেষভাবে পালন করিনি। তাই এবারেও তেমন কোনও পরিকল্পনাও নেই। তবে আমি অপেক্ষা করছি। যদি বিশেষভাবে দিনটা কাটে, অবশ্যই জানাব।’ একটু ভেবে নিয়ে মানালি বললেন, ‘তবে আমাদের বন্ধুত্বের শুরু হয়েছিল ১৪ ফেব্রুয়ারি। ওইদিনই ‘নিমকি ফুলকি’-র শ্যুটিং শুরু করেছিলাম আমরা। সেই থেকেই বন্ধুত্ব, তারপর প্রেম। সিক্যুয়াল চলাকালীনই তো বিয়ে করে ফেললাম। কিন্তু আমাদের মধ্যে এখনও সেই বন্ধুত্বটা অটুট। বরং বিয়ের পর সেটা আরও দৃঢ় হয়েছে।’


বিয়ের কোন মুহূর্তটা সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছিল মানালির? ‘আমি যেদিন অভিমন্যুর বাড়ি যাই, ও নিজে শাঁখ বাজিয়ে আমায় স্বাগত জানিয়েছিল। আমরা লগ্ন মেনে মন্ত্র পড়ে বিয়ে করিনি। ঘরোয়া আয়োজনেই একসঙ্গে থাকা শুরু আমাদের। কিন্তু অভিমন্যুর ওই ছোট্ট কাজটাই আমার কী যে ভালো লেগেছিল..’ স্মৃতি উস্কে বললেন মানালি।


আজ কিস ডে। প্রশ্ন করার আগেই মানালি বললেন, ‘এইসব দিক থেকে আমরা খুব আনরোম্যান্টিক জুটি। আর অভিমন্যু খুব লাজুক। আমার মনে হয়, ভালোবাসা জাহির করতে হয় না। এই বিশ্বাস অভিমন্যুরও। এমনকি ও ছবি তুলতেও খুব একটা স্বচ্ছন্দ নয়। তবে অভিমন্যুকে কখনও কিছু মুখ ফুটে বলতে হয় না আমায়। যখন যেমন ভাবে দরকার, ঠিক তেমনভাবেই পাশে পাই ওকে।’