পানিহাটি: পানিহাটি আসনকে স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করা হলেও সেখানে ভোট হয়েছে শান্তিতেই ৷ কিন্তু পঞ্চম দফার ভোট মিটতেই বিপত্তি ৷ ব্যাপক বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে ৷ স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পানিহাটি পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে ঘোলা এলাকায় বোমাবাজি শুরু হয় ৷ পরপর বেশ কয়েকটি বোমা পড়ে এলাকায় ৷
পানিহাটি কেন্দ্রের অন্তর্গত ঘোলায় রাতে বোমাবাজি হয়েছে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ। ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। তবে বোমাবাজির নেপথ্যে কোনও রাজনৈতিক দল দায়ী, সে বিষয়ে কোনও ধারণা নেই স্থানীয়দের।
বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলই এই ঘটনা ঘটিয়েছে ৷ এই অভিযোগ অবশ্য পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল ৷ বোমাবাজির ঘটনায় স্বভাবতই আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায় ৷ ঘোলা থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ৷ এই ঘটনার সঙ্গে কারা যুক্ত, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ৷
ভাবা হয়েছিল প্রার্থীর গাড়ি। সেই বুঝে চেয়ারম্যানের গাড়িতে ছোড়া হল বোমা। এই অভিযোগ ঘিরে ভোট পরবর্তীতেও উত্তেজনা ছড়ায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার মিনাখাঁয়। তৃণমূলের অভিযোগ, মিনাখাঁ বিধানসভার তাদের দলের চেয়ারম্যান মৃত্যুঞ্জয় মন্ডলের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি-বোমা ছোড়া হয়। গাড়ি দাঁড় করানোর পর চলে ভাঙচুরও। শনিবার গভীর রাতে এই ঘটনা ঘটে মিনাখাঁ বিধানসভার কুলটি গ্রাম পঞ্চায়েতের পুরনো কামারগাতি ৪০নং বুথের কাছে। তৃণমূলের দাবি, দুষ্কৃতীরা আসলে ভেবেছিল ওই গাড়িতে রয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী। আর তা ভেবেই হামলা চালানো হয়। শনিবার ভোট মিটতেই তৃণমূলের বুথ এজেন্ট আতিয়ার মোল্লার বাড়িতে এক দল দুষ্কৃতী ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে সেখানে যান মৃত্যুঞ্জয় মন্ডল ও তৃণমূল নেতা অতনু সর্দার। তাঁকে দেখে ফিরে আসার সময় পুরনো কামারগাতি এলাকায় তৃণমূল প্রার্থীর গাড়ি ভেবে দুষ্কৃতীরা বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ও বোমা চালায় বলে অভিযোগ। ফলে এই সব ঘটনাগুলির থেকেই প্রমাণ ভোট পরবর্তী হিংসা চলছেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ৷