বীরভূম: অষ্টম দফার ভোট চলাকালে বীরভূমের নানুরে বিজেপি প্রার্থীর গাড়ি ভাঙচুর। বিজেপি প্রার্থী তারকেশ্বর সাহার গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। বিজেপি প্রার্থীকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ।এই ঘটনায় তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া এখনও জানা যায়নি।


ভোট গ্রহণ ঘিরে নানুরে একাধিক অশান্তির খবর মিলেছে। ভোটের দিন সকালে নানুর বিধানসভার বাহিরী এলাকায় বিজেপি পোলিং এজেন্ট সুকান্ত লোহারের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে নথি ছেঁড়া ও বন্দুকের বাঁট দিয়ে মেরে মাথা ফাটানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।


ভোট শুরুর আগে নানুর বিধানসভার বেলুটি গ্রামে উত্তেজনা। বিজেপি কর্মীকে বন্দুকের বাঁট দিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। গ্রামবাসীদের ভয় দেখিয়ে আটকে রাখারও অভিযোগ উঠেছ। আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা। তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।


ভোটের আগের রাতে নানুরের বেজরা গ্রামে রাতভর বোমাবাজি। রাস্তায় পড়ে রয়েছে তাজা বোমা। ১১২ নম্বর বুথের তৃণমূলের পোলিং এজেন্ট দেবদাস সরকারের বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। অভিযোগ, বাড়ির সিসি ক্যামেরা ভাঙচুর করে তৃণমূলের পোলিং এজেন্টকে হুমকি দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তৃণমূলের ফেস্টুন ছিঁড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। যদিও বিজেপির দাবি, ভোটের আগে গ্রামে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করে শাসকদলই।


এদিন বীরভূমের যে  ১১টা আসনে ভোট হচ্ছে সেগুলি  হল, সিউড়ি, সাঁইথিয়া, দুবরাজপুর, বোলপুর, নানুর, লাভপুর, রামপুরহাট, ময়ূরেশ্বর, মুরারই, নলহাটি ও হাসন। 


আজ অষ্টম অর্থাৎ শেষ দফায় বীরভূম সহ চারটে জেলার ৩৫টা আসনে ভোট। এর মধ্যে রয়েছে কলকাতার ৭টা, মালদার ৬টা, মুর্শিদাবাদের ১১টা আসনও। ২৮৩ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করবেন প্রায় ৮৫ লক্ষ ভোটার। 


মালদার ৬টা আসন হল, মানিকচক, মালদা, ইংরেজবাজার, মোথাবাড়ি, সুজাপুর ও বৈষ্ণবনগর।


মুর্শিদাবাদের ১১টা আসন হল, খড়গ্রাম, বড়ঞা, কান্দি, ভরতপুর, রেজিনগর, বেলডাঙা, বহরমপুর, হরিহরপাড়া, নওদা, ডোমকল ও জলঙ্গি। 


 কলকাতার যে ৭টা আসনে ভোট হচ্ছে, সেগুলো হল, চৌরঙ্গি, এন্টালি, বেলেঘাটা, জোড়াসাঁকো, মানিকতলা, কাশীপুর, বেলগাছিয়া ও শ্যামপুকুর। 


কমিশন সূত্রে খবর, শেষ দফার ভোটপর্ব তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে রয়েছেন ২৪ জন জেনারেল পর্যবেক্ষক, ৯ জন ব্যয় সংক্রান্ত বিষয়ক পর্যবেক্ষক এবং ৯জন পুলিশ পর্যবেক্ষক।


অন্যান্য পর্বের মতো এবারও রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিশের কড়া নিরাপত্তা।  শেষ দফার ভোটের জন্য মোট ৬০ হাজার ২৪০ কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তার মধ্যে বুথে  ৫১ হাজার ২৮০ কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। 


চার জেলার মধ্যে বীরভূমের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী বরাদ্দ হয়েছে সবচেয়ে বেশি, ১৭ হাজার ৯২০  জন। তারপরেই রয়েছে মুর্শিদাবাদ। এই জেলায় ভোট নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন ১৬ হাজার ৯৬০ জন জওয়ান। 


মালদায় মোতায়েন  ৮ হাজার ৮০০ কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। আর কলকাতার ৭টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট নিরাপত্তার দায়িত্বে ৭ হাজার ৬০০ জওয়ান।