পূর্ব মেদিনীপুর: নন্দীগ্রামের ভোটার হলেন শুভেন্দু অধিকারী। এতদিন তিনি ছিলেন হলদিয়ার ভোটার। নন্দীগ্রামের ভোটার হিসেবেই এবার তিনি নন্দীগ্রামে নির্বাচনের প্রার্থী হচ্ছেন। নন্দীগ্রামের নন্দনায়কবাড় প্রাইমারি স্কুলে তাঁর বুথ।


উল্লেখ্য, আজই নন্দীগ্রাম বিধানসভা আসনে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিচ্ছেন শুভেন্দু। এই আসনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল প্রার্থী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 


এর আগে শুভেন্দু বলেছিলেন যে, নন্দীগ্রাম ভূমিপুত্রকেই চাইছে, কোনও বহিরাগতকে নয়। শুভেন্দুর এই আক্রমণের জবাব মনোনয়ন পেশ করতে এসে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


নন্দীগ্রামের মহাযুদ্ধে নিজেকে ভূমিপুত্র আখ্যা দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী যখন পালের হাওয়া নিজের দিকে টানার চেষ্টা করছেন, তখন আবেগ কার্ড খেললেন তৃণমূল নেত্রীও!


ভোটের তালিকা প্রকাশের পর প্রথমবার নন্দীগ্রামে পা রেখে তাঁর সঙ্গে হলদি নদীর পাড়ের এই জনপদের পুরনো সম্পর্কের কথাই বারবার তুলে ধরার চেষ্টা করেন তৃণমূল নেত্রী। বলেছিলেন,ভুলতে পারি সবার নাম, ভুলব নাকো নন্দীগ্রাম।  নন্দীগ্রামের যুদ্ধের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গায়ে বহিরাগত তকমা লাগিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে পাল্টা জবাব দিয়েছেন মমতা।


শুভেন্দু বলেছিলেন,  ‘‘শীতকালে যেমন ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা ফোটে, এ বার তেমন বহিরাগতরা আসছে নন্দীগ্রামে। এদেরকে একটিও ভোট দেবেন না।’’


এর জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, আমি বাইরের লোক হয়ে গেলাম! যাঁরা গুজরাত থেকে আসছেন, রাজস্থান থেকে আসছেন, তাঁরা বাংলার লোক হয়ে গেলেন? আমাকে বহিরাগত বলছেন!


দুই প্রতিপক্ষের  এই বাকযুদ্ধের মধ্যে শুভেন্দুর নন্দীগ্রাম বিধানসভা আসনের ভোটার হওয়ার বিষয়টি  খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এই আসনের বিধায়ক ছিলেন শুভেন্দু। এবার এই কেন্দ্রের ভোটারো হলেন তিনি। তবে হাইভোল্টেজ ভোটের আগে এর  রাজনৈতিক বার্তার বিষয়টি বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।