কলকাতা : 'অগণতান্ত্রিক ও সংবিধান বিরোধী' নির্বাচন কমিশনের নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুর বেঁধে দিয়েছিলেন আগেই। যার পর একের পর এক তৃণমূল নেতা আওয়াজ তুললেন নির্বাচন কমিশনকে নিয়ে। কুণাল ঘোষের ভাষায়, 'বিজেপির শাখা সংগঠন নির্বাচন কমিশন' 'কন্ঠরোধের চেষ্টা' বলেও তোপ দাগেন তিনি। ডেরেক ও ব্রায়েন বলেন, 'গণতন্ত্রের কালা দিন'। আর অনুব্রত মন্ডলের কথায়, 'কমিশন অন্ধ ধৃতরাষ্ট্র'।
বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মন্ডল বলেছেন, 'অন্ধ ধৃতরাষ্ট্রের মতো আচরণ করছে নির্বাচন কমিশন। দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহাকে দেখতে পাচ্ছেন না ধৃতরাষ্ট্র। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য ২৪ ঘণ্টার নিষেধাজ্ঞা! অনেক ভোট করেছি জীবনে, এমন কমিশন ও কমিশনার দেখিনি।'
এদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিষেধাজ্ঞাকে সমর্থন করলেও রাহুল সিনহা, দিলীপ ঘোষদের নিয়ে কার্যত অনুব্রত মন্ডলের সুর সুজন চক্রবর্তীর গলাতেও। বাম নেতা বলেছেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয়ঙ্কর প্ররোচনা দিচ্ছেন, এই বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু তার থেকে বেশি প্ররোচনা দিচ্ছেন দিলীপ ঘোষ, সায়ন্তন বসু, রাহুল সিনহা। এই সব বিজেপি নেতাদেরও নির্বাচন প্রচার থেকে বিরত করতে হবে।'' বামেদের মতো তৃণমূল-বিজেপি দু-পক্ষকেই নিশানা করেছে কংগ্রেসও। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেছেন, 'এটা মুখ্যমন্ত্রীর যে যোগ্যতা নেই তার প্রমাণ। বিজেপির যে নেতারা এখনও বড় বড় কথা বলছেন তাঁদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না কেন?''
প্রসঙ্গত, রাজ্য রাজনীতি আপাতত উত্তাল দিলীপ ঘোষ ও রাহুল সিনহার মন্তব্য ঘিরেও। রবিবার বরানগরের জনসভা থেকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, 'শীতলকুচিতে দুষ্টু ছেলেদের ওপর গুলি চালানো হয়েছে। বেশি বাড়বাড়ি করলে জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি হবে।' আর সোমবার প্রাক্তন বিজেপি রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা চারজনের বদলে প্রয়োজনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আট জনের প্রাণ গেলেও সেটা যুক্তিসঙ্গত হত বলে দাবি করেছেন।
এদিকে, নির্বাচন কমিশনের ২৪ ঘণ্টা ভোটপ্রচারে নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় গাঁধী মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।