কলকাতা: ভোটের দিন রণক্ষেত্র বেলেঘাটা। রাজবল্লভপাড়ায় তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ, ঝরল রক্ত। বাঁশ-লাঠি-হকি স্টিক নিয়ে সংঘর্ষ বাঁধে ৷ বোতল ছোড়ার পাশাপাশি চলে পাথরবৃষ্টি। মাটিতে ফেলে চ্যালাকাঠ দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। সংঘর্ষে আহত দু’পক্ষের বেশ কয়েকজন। দু’পক্ষের মধ্যে বোতল-পাথর ছোড়াছুড়ি হয়। দু’পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে। বাড়ি ভাঙচুর ও ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বিজেপি প্রার্থী কাশীনাথ বিশ্বাস। এরপরই তৃণমূল কর্মীরা পাথরবৃষ্টি শুরু করে বলে অভিযোগ। বিজেপির অভিযোগ, হামলা চালিয়েছে তৃণমূল। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি সমর্থকরা। শেষপর্যন্ত জমায়েত হঠায় পুলিশ। 


এদিকে মানিকতলায় এদিন বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবেকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। পুলিশ-কেন্দ্রীয় বাহিনীর সামনেই ধস্তাধস্তি হয়। কল্যাণ চৌবেকে ধাক্কা, হাতাহাতি,ধস্তাধস্তির অভিযোগ। বিজেপির অভিযোগ তৃণমূলের দিকে। তৃণমূলের দাবি, গোলমাল পাকাতে এসেছেন বিজেপি প্রার্থী। কল্যাণ চৌবে স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। তাঁর অভিযোগ, এখানে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া মন্থর করে দিয়েছে। অন্যদিকে, তৃণমূল কাউন্সিলরের অভিযোগ, তাঁকে নিগ্রহ করেছে বিজেপির লোকজন।



ঘটনাস্থলে বসে পড়েন বিজেপি প্রার্থী। এলাকায় রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। ঘটনা ঘিরে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা। ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছন তৃণমূল প্রার্থী সাধন পান্ডেও। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূলের মহিলা কাউন্সিলরকে মারধর করা হয়েছে। এরপর ১৬৭ নম্বর বুথে কল্যাণ চৌবেকে ঘিরে ফের বিক্ষোভ দেখানো হয়। কল্যাণ চৌবে ভোটারদের প্রভাবিত করছেন, অভিযোগ তৃণমূলের। তাঁকে ঘিরে কেন বারবার বিক্ষোভ? কল্যাণ চৌবে বলেন, ‘‘ভিতরে বিজেপির মহিলা এজেন্টকে হুমকি দেওয়া হয়। আমি আসলে আমাকেও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমাকে 'লাইফ থ্রেট' করা হচ্ছে। আমি প্রাণহানির আশঙ্কা বোধ করছি ৷’’ অন্যদিকে, তৃণমূলের অভিযোগ, শান্তিপূর্ণ ভোট হচ্ছে। কল্যাণ এসেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার চেষ্টা করছেন। 


এদিকে মহাজাতি সদনের সামনে এদিন 'বোমাবাজি'-র ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের প্রতিক্রিয়া- 'বোমা নয়, দুটো নিষিদ্ধ শব্দবাজি ফেটেছে। দুটি বড় ধরনের চকোলেট বোমা ফেটেছে', এমনটাই জানাল কমিশন।