কলকাতা: সোমবার সপ্তম দফার ভোটের দিন সকাল সকালই ভবানীপুরের মিত্র ইনস্টিটিউশনে ভোট দিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোট দিয়ে বেরিয়ে এসে তিনি বলেন, ' আমি খুবই আত্মবিশ্বাসী। দুই-তৃতীয়াংশের বেশি আসনে জিতে রাজ্যে পুনরায় ক্ষমতায় আসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ ’’ পাশাপাশি তিনি এদিন আরও বলেন, করোনায় মানুষ মারা যাচ্ছেন ৷ কিন্তু নির্বাচন কমিশন এই অবস্থাতেও এ রাজ্যে আট দফাতেই ভোট করাচ্ছে, শুধুমাত্র একটি পার্টিকে সুবিধা দেওয়ার জন্য ৷ ’’



অভিষেকের কথায়, আমি আশ্বস্ত করতে পারি, আমরাই জিতছি। এখন সংখ্যা বাড়ানোর দফা। কীভাবে আমাদের আসন বাড়ানো যায় সে দিকেই নজর থাকছে। মানুষের ওপর আমাদের আস্থা রয়েছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসতে পারে জেনে পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় সরকার, রাজনৈতিক নেতাদের তৈরি থাকা উচিত ছিল। অমিত শাহই বলেছেন যে, যারা হারে তারা অভিযোগ করে। এখন বিজেপি অভিযোগ করছে, তার মানে তো এটাই দাঁড়ায় বিজেপি হারছে। পাশাপাশি বাংলায় উত্তরোত্তর করোনায় সংক্রমণ বৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি বললেন, "নির্বাচন কমিশনের একটি রাজনৈতিক দলকে সুবিধা করে দেওয়ার জন্য এই ভূমিকা কেউ আগে কখনও দেখেনি।"




একঝলকে সপ্তম দফার ভোট-


ভোট সপ্তমীতে কলকাতা (৪), পশ্চিম বর্ধমান (৯), মুর্শিদাবাদ (৯), মালদা (৬) ও দক্ষিণ দিনাজপুর (৬) এই ৫ জেলার মোট ৩৪ আসনে ভোট।


ভোট হ‌ওয়ার কথা ছিল ৩৬ আসনে। কিন্তু মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর কেন্দ্রের  প্রার্থীরা করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ায় সেখানে সোমবার ভোট হচ্ছে না।


কলকাতা (৪)-
কলকাতা বন্দর, ভবানীপুর, রাসবিহারী, বালিগঞ্জ।


পশ্চিম বর্ধমান (৯)-
পাণ্ডবেশ্বর, দুর্গাপুর পূর্ব, দুর্গাপুর পশ্চিম, রানিগঞ্জ, জামুড়িয়া, আসানসোল দক্ষিণ, আসানসোল উত্তর, কুলটি, বারাবনি।


মুর্শিদাবাদ (৯)-
ফরাক্কা,  সুতি,  রঘুনাথগঞ্জ, সাগরদিঘি, লালগোলা, ভগবানগোলা, রানিনগর, মুর্শিদাবাদ, নবগ্রাম।


মালদা (৬)-
হবিবপুর, গাজোল, চাঁচল, হরিশচন্দ্রপুর, মালতিপুর, রতুয়া।


দক্ষিণ দিনাজপুর (৬)- 
কুশমণ্ডি, কুমারগঞ্জ, বালুরঘাট, তপন, গঙ্গারামপুর, হরিরামপুর।