অর্ণব মুখোপাধ্যায়, হিন্দোল দে ও সুদীপ্ত আচার্য, কলকাতা: সাতগাছিয়ায় টিকিট না পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন তৃণমূল বিধায়ক সোনালি গুহ। বললেন, দীর্ঘদিন একসঙ্গে থাকার একটা দাম দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেস। ভালোই সম্মান পেলাম।
তাঁর আক্ষেপ, আমি মমতাদির বাড়ির লোক ছিলাম। মমতাদি এটা করতে পারেন, বিশ্বাস করতে পারছি না।
কান্নায় ভেঙে পড়ে বললেন, দিদি যেন এবারও মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন। একবার আমাকে দিদি ডেকে বলতে পারত যে এবার তোকে টিকিট দিচ্ছি না।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তালিকায় নাম না থাকায় আবেগ-ক্ষোভ, কোনওটাই চেপে রাখতে পারেননি, একদা তাঁর ছায়াসঙ্গী সোনালী গুহ।
শুধু সোনালি নন, আরাবুল ইসলামও কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। একইসঙ্গে টিকিট না পাওয়ার প্রতিবাদে তৃণমূল ছাড়লেন নলহাটির বিদায়ী বিধায়ক মইনুদ্দিন শামস। ক্ষুব্ধ বাঁকুড়ার বিধায়ক শম্পা দরিপাও। আমডাঙায় জাতীয় সড়ক অবরোধ করলেন বিধায়কের অনুগামীরা। ভূমিপুত্রকে প্রার্থী না করায়, ক্ষোভ শিলিগুড়িতেও।
বসিরহাট দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে এবার আর প্রাক্তন ফুটবলার তথা বিধায়ক দীপেন্দু বিশ্বাসকে প্রার্থী করেনি তৃণমূল!...যা দেখে হতাশ তিনিও।
বাঁকুড়া কেন্দ্রে অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রার্থী করেছে তৃণমূল!কিন্তু, এই কেন্দ্রের বিধায়ক শম্পা দরিপা, যিনি ২০১৬-তে কংগ্রেসের হয়ে জিতে, পরে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন, তাঁকে এবার তৃণমূল প্রার্থী না করায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি!