কলকাতা: রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ মিঠুন চক্রবর্তীর। সৌজন্য সাক্ষাৎ। রাজনীতির কোনও কথা হয়নি। রাজভবন থেকে বেরনোর সময় জানালেন চলচ্চিত্র তারকা মিঠুন।


তিনি এ কথা বললেও রাজনৈতিক মহলে জল্পনা কিছু থেমে নেই। রাত পোহালেই রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা। তৃণমূল কংগ্রেস তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফিরবে, না বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে, ভোট গণনার আগে চুলচেরা বিশ্লেষণের আগে মিঠুনের রাজ্যপালের সঙ্গে এই সাক্ষাৎকার অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।


ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন মিঠুন। এক সময় তৃণমূল তাঁকে সাংসদ হিসেবে রাজ্যসভায় পাঠিয়েছিল। যদিও পরে তিনি সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন। তারপর থেকে তাঁর সঙ্গে রাজনীতির যোগাযোগ থাকতে দেখা যায়নি। ভোটের আগে তিনি আরএসএস প্রধানের সঙ্গে দেখা করার পরই জল্পনা দানা বেঁধেছিল। এর কিছুদিন পর কলকাতার ব্রিগেড ময়দানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভায় বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।


রাজ্য বিধানসভার অষ্টম তথা শেষ দফার নির্বাচনে  কাশীপুর-বেলগাছিয়ার ২৪৭ নম্বর বুথে ভোট দেন মিঠুন চক্রবর্তী। ভোট দিয়ে বেরিয়ে মিঠুন বলেন, 'এরকম শান্তিপূর্ণ ভোট আগে হয়নি।' এই এলাকাতেই মিঠুন চক্রবর্তীর এক বোনের বাড়ি রয়েছে। সম্প্রতি এই ঠিকানাতেই ভোটার কার্ড তৈরি করেন মিঠুন চক্রবর্তী। 


এবারের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যজুড়ে বিজেপির হয়ে প্রচার করেছেন। মিঠুন প্রচারে তৃণমূলের নির্বাচনী ইস্তেহারে দেওয়া দুয়ারে রেশন প্রতিশ্রুতির সমালোচনা করেন। তিনি অভিযোগ করেন, আখেরে এই প্রকল্প দুর্নীতির আরও একটি মাধ্যম হয়ে উঠবে। 


বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর মিঠুন বিজেপি প্রার্থী হতে পারেন কিনা, তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। কলকাতার ঠিকানায় তাঁর ভোটার কার্ড তৈরির ঘটনা সেই জল্পনা উস্কে দিয়েছিল। শেষপর্যন্ত তিনি ভোটে লড়াই করেননি। কিন্তু রাজ্যের নানা জায়গায় বিজেপির হয়ে প্রচার করেছেন তিনি। রোড শো, জনসভার মাধ্যমে ভোটের প্রচার করেছিলেন।


আট দফা ভোটের শেষে আগামীকাল ভোট গণনা।