কলকাতা:  শীতলকুচির ঘটনায় পাঁচ মে-র মধ্যে সিআইডি-র কাছে রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের। ৫ মে-র মধ্যে রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের।


সরকারি আইনজীবী আদালতে জানিয়েছেন, কোচবিহারের মাথাভাঙা থানায় এই ঘটনায় এফআইআর রুজু করা হয়েছে। এই ঘটনার তদন্ত সিআইডি-কে দিয়ে করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। এরপরই সিআইডি-কে এই ঘটনায় ৫ মে-র মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলে হাইকোর্ট।


উল্লেখ্য, শীতলকুচির ঘটনার দোষীদের শাস্তির আর্জি জানিয়ে গত সোমবার হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। রাজ্যে চতুর্থ দফার ভোটে শীতলকুচির একটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চারজনের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়ে এই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়।


এর আইনজীবী এই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন। তাঁর আর্জির ভিত্তিতে এদিন হাইকোর্টে মামলার শুনানি হয়।  তিনি নিহতদের পরিবারবর্গকে ক্ষতিপূরণ ও ঘটনার অবিলম্বে তদন্ত ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর যে কোম্পানিকে নির্বাচন কমিশন সেখানে মোতায়েন করেছিল, সেই কোম্পানিকে বকেয়া নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে নিষিদ্ধ করার আর্জিও জানানো হয়।


ক্ষতিপূরণের ব্যাপারে কমিশনের আইনজীবী জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে তাদের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু কোনও রাজনৈতিক নেতানেত্রীর হাতে তা দেওয়া নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে কমিশন।


উল্লেখ্য, রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফায় কোচবিহারের শীতলকুচির একটি বুথে ওই চারজনের মৃত্যু হয়। কমিশন সূত্রে বলা হয়, আত্মরক্ষার্থেই গুলি চালাতে বাধ্য হয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। 


এই মৃত্যুর ঘটনা ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। ওই ঘটনার দিনই কোচবিহারে রাজনৈতিক নেতা-নেত্রী ও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধের কোচবিহারে প্রবেশে ৭২ ঘণ্টার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কমিশন। 


মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী এই ঘটনা সম্পর্কে দলের জনসভায় বলেছিলেন যে, এই ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের খুঁজে বার করা হবে। 


এদিকে, জানা গেছে, শীতলকুচির ঘটনায় সিআইডি আজ তদন্তভার গ্রহণ করেছে। স্থানীয় থানার কাছে নথি চেয়ে পাঠিয়েছেন তদন্তকারী অফিসাররা। দ্রপত ঘটনাস্থলে যাবে সিআইডি। টিম গঠন করে দ্রুতই ঘটনাস্থলে যাবে সিআইডি।