রুমা পাল, কলকাতা: একুশের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে ৮ দফা ভোটেই ব্যবহার হতে চলেছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। এর আগে বিধানসভা নির্বাচনে শুধুমাত্র জঙ্গলমহল এবং মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকাতেই ভোটের সময় এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করা হত। কিন্তু এবার ৮  দফা ভোটেই এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহৃত হবে। ভোটের দিন কোন ভোট কর্মী বা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান আহত হলে, যেখানে তিনি নিযুক্ত আছেন সেখানে উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা না থাকলে তাকে অন্যত্র এয়ার অ্যাম্বুলেন্সই নিয়ে যাওয়া হয়।


প্রশ্ন হচ্ছে কেন ৮ দফাতেই প্রয়োজন হচ্ছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। তাহলে কি কমিশন হিংসামুক্ত ভোট করানো নিয়ে সংশয় রয়েছে? ভোটের সময় কোন গন্ডগোলের আশঙ্কা করছে কমিশন? অন্যদিকে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের জন্য থাকছে হেলিকপ্টারের ব্যবস্থাও।


৩রা মার্চ সকাল ন'টা থেকে রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকরা সমস্ত জেলা নির্বাচন আধিকারিক অর্থাৎ জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করবেন। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য কমিশন এ রাজ্য থেকে ৯ জন পুলিশ আধিকারিক এবং ২৯ জন আমলাদের অন্য যে চার রাজ্যে বিধানসভা ভোট হচ্ছে সেখানে যথাক্রমে পুলিশ পর্যবেক্ষক এবং সাধারণ পর্যবেক্ষক করে পাঠাচ্ছে।


ইতিমধ্যেই  সব ভোট কর্মী এবং ভোট প্রক্রিয়ায় নিযুক্ত আধিকারিকদের জন্য ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। একজন ভোট কর্মী বোলপুর থানার অন্তর্গত রজতপুর গ্রামের বাসিন্দা ৫৩ বছর বয়সী তারক চক্রবর্তী ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তাঁর মৃত্যুতে শিক্ষক শিক্ষা কর্মী শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিংকর অধিকারী সমবেদনা জানান এবং তাঁর পরিবারের জন্য ৫০ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে তারা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছে। জেলা শাসকের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হতে পারে। তারপর সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন এমনটাই কমিশন সূত্রে খবর।