রুমা পাল ও রঞ্জিত হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা : রাত পোহালেই ভোট চতুর্থী। এই দফায় দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার ১১ আসনে ভোট। এবারের নির্বাচনের কথা মাথায় ১৮৪ কোম্পানি বা প্রায় ১৫ হাজার কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান মোতায়েন করল নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে কলকাতা ঘেঁষা আসনগুলির জন্য থাকছে ১০০ কোম্পানি বাহিনী। মোট ভোটার ৩১ লক্ষ ৪৮ হাজার ২৮২। বুথের সংখ্যা ৪ হাজার ২৪২টি। আজ সকাল থেকেই বিভিন্ন ডিসিআরসি গুলিতে ছিল শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততা। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, জেলার ১১টি আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩১ লক্ষ ৪৮ হাজার ২৮২। মোট বুথ রয়েছে ৪ হাজার ২৪২টি। 


২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে দক্ষিণ ২৪ পরগনাই একমাত্র জেলা যেখানে এবার তিন দফায় নির্বাচন ভোট করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ৩১ আসনের এই জেলায় আগেই দু’দফায় ১৯টি ভোট হয়ে গিয়েছে। শনিবার চতুর্থ দফায় এই জেলার। ভোটগ্রহণ হবে যথাক্রমে সোনারপুর উত্তর, সোনারপুর দক্ষিণ, ভাঙড়, কসবা, যাদবপুর, টালিগঞ্জ, বেহালা পূর্ব, বেহালা পশ্চিম, মহেশতলা, মেটিয়াবুরুজ ও বজবজ- এই ১১টি আসনে। 


ভোটের আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার এই অংশে একাধিকবার সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে শাসক-বিরোধী দু’পক্ষই। সে কথা মাথায় রেখে ইতিমধ্যেই কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে নির্বাচন কমিশন। ১১টি আসনে ভোটের নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে ১৮৪ কোম্পানি বা প্রায় ১৫ হাজার কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। 


বারুইপুর পুলিশ জেলায় মোতায়েন থাকছে ৪৫ কোম্পানি বা প্রায় সাড়ে ৩ হাজারের বেশি জওয়ান। ডায়মন্ডহারবারে ৩৯ কোম্পানি বা প্রায় ৩ হাজার ২০০ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। এবং কলকাতা ঘেষা আসনগুলির জন্য ১০০ কোম্পানি বা ৮ হাজার কেন্দ্রীয় বাহিনী জওয়ান মোতায়েন শনিবারের ভোটে। এছাড়াও যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় থাকছে কুইক রেসপন্স টিম। এছাড়াও থাকছে ড্রোনে নজরদারির ব্যবস্থাও।


তৃণমূলের গড় বলে পরিচিত দক্ষিণ ২৪ পরগনার এই ১১টি আসনের মধ্যে ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ১০টিতেই জয়ী হয়েছিল তৃণমূল। বাকি একটি আসন যায় CPM-এর দখলে। আবার ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের বিধানসভাভিত্তিক ফল অনুযায়ী, ১১টি আসনেই এগিয়ে রয়েছে রাজ্যের শাসকদল। এই পরিস্থিতিতে শনিবারের ভোট ঘিরে প্রস্তুতি তুঙ্গে। শুক্রবার সকাল থেকেই ডিসিআরসি গুলিতে শেষ মুহূর্তের তত্‍পরতা। ইভিএম ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নিয়ে ভোটকেন্দ্রের দিকে রওনা দিতে শুরু করেছেন ভোটকর্মীরা।