কলকাতা: বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ-কে একযোগে আক্রমণ বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের। তাঁর দাবি, বাম ও কংগ্রেস সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করছে। অতীতে যেভাবে তারা সাম্প্রদায়িক শক্তিকে মদত দিয়েছে, এখনও সেটাই করছে। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসও বামেদের মদত দিচ্ছে বলে দাবি শমীকের। 


এই বিজেপি নেতা বলেন, ‘সম্পূর্ণ সাম্প্রদায়িকতার কাছে আত্মসমর্পণ। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ দেখছেন। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ সিদ্ধান্ত নেবেন। বিজেপি সাম্প্রদায়িক আর ভাইজানের রাজনীতি অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি, ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতি! কোন ধর্মনিরপেক্ষতার স্লোগানগুলো আজ ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড দেখল? আমরা কংগ্রেসের বক্তাদের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য শুনলাম, বিপিন চন্দ্র পালের নাম শুনলাম। ১০ হাজার কংগ্রেস কর্মী খুন হওয়ার দাবি করা নেতাদের মুখেও ইনকিলাব জিন্দাবাদ শুনলাম। কিন্তু এতবড় ব্রিগেডে একবারও বন্দে মাতরম শব্দ উচ্চারিত হল না। সম্পূর্ণভাবে সাম্প্রদায়িকতার কাছে, ভাইজানের কাছে, মহম্মদ সেলিমের কাছে, তাদের এই নতুন বিন্যাসের কাছে আত্মসমর্পণ করল শতাব্দীপ্রাচীন কংগ্রেস। আর দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে যাঁরা ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতির কথা বলেছেন, যাঁরা জয় শ্রীরামের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতার গন্ধ পেয়েছেন, তাঁরা আজ আত্মসমর্পণ করলেন তাদের কাছে। কী হবে পশ্চিমবঙ্গের ভবিষ্যৎ? পশ্চিমবঙ্গকে এঁরা কোন দিকে নিয়ে যেতে চাইছেন, সেটা সময়ই বলে দেবে। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ সিদ্ধান্ত নেবেন।’


আজ বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ-এর ডাকা ব্রিগেড সমাবেশের মধ্যমণি ছিলেন আইএসএফ-এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আব্বাস সিদ্দিকি। তিনি বিজেপি-র পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসকেও আক্রমণ করেন। আব্বাস বলেন, ‘বাংলার মানুষ মমতার সরকারের উপর ক্ষিপ্ত। যদি এই সমঝোতা আরও এক সপ্তাহ আগে হত, তাহলে ব্রিগেডে দ্বিগুণ মানুষ আনতাম। আগামী দিন বিজেপি ও বিজেপি সরকারের টিম মমতাকে উৎখাত করব। ভোটে মমতাকে শূন্য করে ছাড়ব।’


‘মানুষের কাছে আমাদের যেতে হবে, তাঁদের কথা শুনতে হবে। সমালোচনা করলে মাথা পেতে নিতে হবে।’ আত্মসমালোচনার সুর সূর্যকান্ত মিশ্রর গলায়। ‘মুখ্যমন্ত্রী শুরু করেছিলেন দিদিকে বলো। এমন বলেছেন গোটা দলটাই বিজেপি হয়ে গেছে,’ কটাক্ষ সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকের।


‘মোদি ও দিদির মধ্যে কোনও ফারাক নেই। মোদি-দিদির বিরোধিতা করলেই রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা দায়ের হয়।’ ব্রিগেডের সভা থেকে একযোগে তৃণমূল-বিজেপিকে আক্রমণ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর। 


এই সমাবেশের পরেই বাম-কংগ্রেসকে আক্রমণ করে বিজেপি।