অনির্বাণ বাগচী, মুর্শিদাবাদ : ভোট মিটলেও সন্ত্রাসে (Panchayat Poll Violence) বিরাম নেই। এই প্রেক্ষাপটেই সোমবার ফের ভোটগ্রহণ (Panchayat Election) হতে চলেছে রাজ্যের ৬৯৬টি বুথে। মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) থেকে শুরু করে কোচবিহার, দুই ২৪ পরগনা, নদিয়া-সহ ১৯টি জেলার একাধিক বুথে হবে পুননির্বাচন। যা নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা। এরই মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়াল লালগোলায়। 


অভিযোগ বিডিও-র বিরুদ্ধেই !


রাতের অন্ধকারে ব্যালট বাক্স বদলের চেষ্টার অভিযেগ উঠল। অভিযোগের আঙুল কোনও রাজনৈতিক কর্মীর বিরুদ্ধে নয়। ব্যালট বাক্স পাল্টানোর 'চেষ্টা'র অভিযোগ বিডিও-র বিরুদ্ধেই ! লালগোলার বিডিও-র বিরুদ্ধেই উঠল অভিযোগ । কংগ্রেস-সিপিএম এমনটা দাবি করেছে। 

স্ট্রং রুম থেকে অব্যবহৃত ব্যালট বাক্স বিডিও-র অফিসে আনার অভিযোগ । মাঝ রাস্তায় গাড়ি আটকে বিক্ষোভ । লালগোলায় এম এন অ্যাকাডেমিতে তৈরি হয়েছে স্ট্রং রুম । স্ট্রং রুম ও বিডিও অফিসের বাইরেও চলে বিক্ষোভ। বিক্ষোভকারীদের হঠাতে লাঠিচার্জ পুলিশের। বিরোধীদের একটাই প্রশ্ন, এভাবে করলে ভোটের কী প্রয়োজন ছিল?

এর আগে ব্যালট নিয়ে দৌড়, ব্যালটে জল, আবার কোথাও সটান পুকুরে ফেলে দেওয়ার ছবি দেখা গিয়েছিল পঞ্চায়েত ভোটের দিন। রবিবার পুকুরে নেমে সেই ব্যালট বাক্স উদ্ধার করা হয়। ভোটের দিন কারা ছিনতাই করেছিল ব্যালট বাক্স? সেনিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।  




 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficia





পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার পুরুষোত্তমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে দিনভর শান্তিপূর্ণভাবে ভোট চললেও গভীর রাতে ব্যালট বাক্স নিয়ে যাওয়ার সময় গন্ডগোল বাধে! আইএসএফের অভিযোগ, ভোট কর্মী ও পুলিশ কর্মীদের মারধর করে ব্যালট বাক্স ছিনিয়ে নেয় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। ধাওয়া করতেই বাক্স পুকুরে ফেলে চম্পট দেয় তারা। রবিবার সকালে পুকুর থেকে জলভর্তি ব্যালট বাক্স উদ্ধার করে পুলিশ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর জ্যোতিষপুর পঞ্চায়েতেও ব্যালট বাক্স লুঠের অভিযোগ ওঠে। শনিবার সন্ধেয় তৃণমূল ও আরএসপির সংঘর্ষে তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। তৃণমূলের অভিযোগ, ব্যালট বাক্স সিল করতে বাধা দেয় আরএসপির কর্মী সমর্থকরা। আটকাতে গেলে তাদের বেধড়ক মারধর করা হয়। রবিবার সকালে পুকুরে নেমে দুটি ব্যালট বাক্স উদ্ধার করেন গ্রামবাসীরাই। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে আরএসপি। 


শনিবার রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সংঘর্ষ, ভোট লুঠ, বুথ দখল, ব্যালট বাক্স নষ্ট করার ঘটনা ঘটলেও, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যজুড়ে ভোট পড়েছে ৮০ দশমিক সাত এক শতাংশ (৮০.৭১%)।