শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার : নির্বাচনের আগেই, কোচবিহার জেলায় ১২৮টা গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্য়ে ৩টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী তৃণমূল। দিনহাটা দু'নম্বর ব্লকের সুকারুর কুঠি, চৌধুরীহাট ও দিনহাটা ১ নম্বর ব্লকের সুকতাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের অধিকাংশ আসনে প্রার্থীই দিতে পারেনি বিরোধীরা।  


মনোনয়ন জমা দিয়েই বিজেপির বিজয় উল্লাস 

এর আগে গত ১৪ জুন বিডিও অফিসে মনোনয়ন জমা দিয়েই ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে, বিজয় উৎসবে মাতেন বজবজের তৃণমূলের কর্মীরা। দেওয়া হয় স্লোগান, দেখা যায়নি কোনও পুলিশ কর্মীকে। মনোনয়নপত্র জমার দিনই যেন অকাল ফল ঘোষণা হয়ে গেল। সোমবার, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবার লোকসভার অন্তর্গত বজবজ ১ নম্বর বিডিও অফিসে মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর, বিডিও অফিসের সামনেই  আবীর খেলেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। তৃণমূল প্রার্থীকে সেদিন বলতে শোনা যায়, এখানে কোনও বিরোধী নেই, আশাকরি হবে না !

অন্যদিকে পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়নের ১ দিন বাকি থাকতেই  হাওড়ার জগৎবল্লভপুরে বিডিও অফিসে মনোনয়ন জমা দিয়েই, উল্লাসে মাতেন তৃণমূল কর্মীদের একাংশ। ঠিক যে ছবি দেখা গিয়েছিল বজবজে। সেই ছবিই ফিরে আসে হাওড়ার জগৎবল্লভপুরেও! স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা। 


পঞ্চায়েত ভোটের অনেক আগে থেকেই শাসকদলের শীর্ষ নেতৃত্ব শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের বার্তা দিচ্ছিলেন। কিন্তু, জেলায় জেলায় যে সমস্ত ছবি উঠে আসছে! লেঠেল বাহিনীর দাপট দেখা যাচ্ছে, তা কি সুস্থ গণতন্ত্রের ছবি প্রতিষ্ঠা করে? সেই প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা।                            


মনোনয়ন প্রত্য়াহারের জন্য় চাপ 

অন্যদিকে, গত কয়েকদিনে দিকে দিকে মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়া হচ্ছিল বিরোধীদের। এবার, মনোনয়ন প্রত্য়াহারের জন্য় চাপ দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। একটি ভিডিও প্রকাশ্য়ে এনে বিজেপি দাবি করেছে, পটাশপুর ২ নম্বর ব্লকের পাণিনালা গ্রামে, বাড়িতে এসে বিজেপি প্রার্থীকে মনোনয়ন তুলে নিতে চাপ দেয় স্থানীয় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। সঙ্গে চলে গালিগালাজ। প্রত্য়েকের মুখে গামছা-কাপড় বাধা। প্রাণহানির হুমকি দেয় বলেও অভিযোগ। ঘটনার পর থেকেই গ্রামছাড়া বিজেপি প্রার্থী।       


আরও পড়ুন : ১৬ জুন পঞ্চায়েত ভোট সংক্রান্ত সব ব্রেকিং নিউজ পড়ুন এখানে